বেশির ভাগ সবজি ৮০ টাকার ওপরে, এত দাম কেন
Published: 15th, August 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সবজি কিনতে যান গৃহিণী লাবনী আক্তার। এক দোকানে গোল বেগুনের দাম শুনলেন ২০০ টাকা কেজি। কিন্তু এত বেশি দাম দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে একটু দূরে আরেকটি দোকানে গিয়ে তিন-চার দিন আগের আনা অপেক্ষাকৃত কম মানের বেগুন কেনেন ১২০ টাকা দরে।
লাবনী আক্তার বলেন, ‘বাজারে হঠাৎ করে যেন সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেল। আমাদের আয় সীমিত, টানাটানির সংসার। এর মধ্যে ২০০ টাকা বেশি খরচ হলেও অন্য খাতের খরচে টান পড়ে যায়। সবজির মূল্যবৃদ্ধি আসলেই আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মাছ-মাংসের দাম বেশি থাকলে মানুষ সাধারণত সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দেন। তবে বাজারে এখন সবজির দামও বেড়ে গেছে। বাসাবাড়িতে নিয়মিত খাওয়া হয় এমন অধিকাংশ সবজির দাম এখন ৮০ টাকার ওপরে। সবজির দাম চড়া থাকায় অস্বস্তি বেড়েছে ক্রেতাদের; বিশেষ করে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষেরা বেশি সংকটে পড়েছেন।
বাজারে হঠাৎ করে যেন সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেল। আমাদের আয় সীমিত, টানাটানির সংসার। এর মধ্যে ২০০ টাকা বেশি খরচ হলেও অন্য খাতের খরচে টান পড়ে যায়। সবজির মূল্যবৃদ্ধি আসলেই আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’লাবনী আক্তার, গৃহিণীগত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল, আগারগাঁও তালতলা, কাঁঠালবাগান ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে সবজির দরদামের খোঁজ নেন এই প্রতিবেদক। এ সময় বিক্রেতারা জানান, শীতকাল শেষ হলেই সবজির দাম একটু একটু করে বাড়তে থাকে। তবে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এই দাম অনেক দ্রুত বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম। বাজারে ১০০ টাকার নিচে কোনো বেগুন নেই, সর্বোচ্চ দাম ২০০ টাকা। তিন সপ্তাহ আগেও ৬০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে এক কেজি বেগুন কেনা যেত। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা, বরবটি, কাঁকরোলের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা; আমদানি করা টমেটোর কেজি ১৬০-১৮০ টাকা; আর পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দামে কেনা যায় চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, কচুমুখি প্রভৃতি সবজি। আর ৫০ টাকার নিচে রয়েছে শুধু মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, কাঁচকলাসহ হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৭০-৮০ টাকা ও চালকুমড়া ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ২০০-২৪০ টাকা।
আমাদের অধিকাংশ সবজি রবি বা শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে মার্চ মাস) উৎপাদন হয়। কারণ, এ সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। এখন যেহেতু বৃষ্টিপাতের মৌসুম; ফলে সারা দেশেই মাঠে সবজি চাষ কমে যায়। আগামী অক্টোবর থেকে নতুন সবজি উৎপাদন শুরু হলে আবার সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কমে আসবেকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো.ওবায়দুর রহমান মণ্ডল
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এবার সবজির দাম কিছুটা বেশি। যেমন গত বছর এ সময়ে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, যা এখন ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এ ছাড়া করলা, বরবটি, কাঁকরোলের দামও কেজিতে ২০ টাকার মতো বেশি রয়েছে।
সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকের দামও বেড়েছে। যেমন মানভেদে বর্তমানে একমুঠো লাউ শাকের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা; আর পুঁইশাক কেনা যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। দুই-তিন সপ্তাহ আগে উভয় প্রকার শাকের দাম ৫-১০ টাকা করে কম ছিল। অন্যান্য শাকের মধ্যে ডাঁটাশাক ৩০ টাকা, লালশাক ২০-৩০ টাকা এবং পাট, কলমি, কচু ও ঢেঁকিশাক ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া একটি কচুর ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দামে কেনা যায় চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, কচুমুখি প্রভৃতি সবজি। আর ৫০ টাকার নিচে রয়েছে শুধু মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, কাঁচকলাসহ হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৭০-৮০ টাকা ও চালকুমড়া ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ২০০-২৪০ টাকা।কেন দাম বেড়েছেবাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার জানান, বর্তমানে লিন সিজন বা কম উৎপাদনের মৌসুম চলছে। এ সময় আবহাওয়ার কারণে জমিতে সবজি চাষ কম হয়, ফলে সরবরাহও কমে যায়। এ কারণে বর্তমানে বাজারে সবজির দাম বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডলও একই তথ্য জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ সবজি রবি বা শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে মার্চ মাস) উৎপাদন হয়। কারণ, এ সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। এখন যেহেতু বৃষ্টিপাতের মৌসুম; ফলে সারা দেশেই মাঠে সবজি চাষ কমে যায়। আগামী অক্টোবর থেকে নতুন সবজি উৎপাদন শুরু হলে আবার সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কমে আসবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবজ র দ ম ২০০ ট ক চ লক ম আম দ র ৮০ ট ক র সবজ এ সময় শ সবজ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ
আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।
সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।
৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’
কারা আছে তালিকায়দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।
দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।
১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।
২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।
কীভাবে এই মূল্যায়ন৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।
ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।
এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;
কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;
কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;
সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;
কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।