নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে মোংলা বন্দর। পশুর চ্যানেলে ড্রেজিং দীর্ঘদিনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত কয়েক বছর নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পশুর নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়েছিল। এ সমস্যার সমাধানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের ব্যবহার ও রাজস্ব আয় বাড়বে, বন্দর আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যের হাবে পরিণত হবে এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কয়লা পরিবহন সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ