Prothomalo:
2025-11-17@08:39:22 GMT

‘শোলে’র জানা-অজানা যত গল্প

Published: 15th, August 2025 GMT

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। অখ্যাত এক ছোট্ট গ্রাম রামগড় বদলে দিয়েছিল বলিউডের ইতিহাস। ‘ঠাকুরের ডাকে জয় আর বীরু নামের দুই তরুণের ডাকাত ধরার সেই গল্প ক্রমেই হয়ে ওঠে হিন্দি সিনেমার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সিনেমার একটি। সেই ‘শোলে’র মুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ।

অন্যায়ের ওপর ন্যায়ের বিজয় আর সবচেয়ে বড় কথা, তিন ঘণ্টায় ন্যায়বিচার! যা আপনি আর আমি আজীবনেও না-ও পেতে পারি।অমিতাভ বচ্চন

‘শোলে’ শুধু একটি বড় বাজেটের তারকাখচিত সিনেমা নয় বরং এক সাংস্কৃতিক মাইলফলক। পরিচালক রমেশ সিপ্পির নির্মাণ, সলিম-জাভেদ জুটির ধারালো চিত্রনাট্য ও সংলাপ; আর ডি বর্মনের সুর মিলেমিশে তৈরি করেছিল এমন এক বড় পর্দার অভিজ্ঞতা, যা দর্শক আজও ভুলতে পারেনি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক ইয়াসির উসমান এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘এই ছবি মুক্তির সময়ই চারটি বড় বলিউডি ছাঁচ ভেঙে দিয়েছিল। সেই কারণেই “শোলে” আজও প্রাসঙ্গিক।’

নিখুঁত নয়, মানবিক নায়ক
‘শোলে’র আগে বলিউডি নায়ক বলতে বোঝাত নির্মল, আদর্শ, ভুলত্রুটিমুক্ত মানুষ। তারা কখনো অন্যায় করত না, নৈতিকতার পাঠ শোনাতে ব্যতিব্যস্ত। ‘শোলে’ সেখান থেকে হাজির করে ধূসর নায়ককে। যারা বাস্তবের মতোই; ভালো-মন্দের মিশেলে তৈরি।
জয় (অমিতাভ বচ্চন) আর বীরু (ধর্মেন্দ্র) ছিলেন আগের বলিউড নায়কদের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। তাঁরা প্রাক্তন কয়েদি, পেশাদার চোর, মিথ্যাবাদী। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁরা হয়ে ওঠেন সাহসী যোদ্ধা, রামগড়ের মুক্তিদূত।
ইয়াসির উসমান বললেন, ‘নায়ক মানে ত্রুটিহীন হওয়া নয়, বরং বিপদের মুখে দাঁড়ানোর সাহস।’ এই ধূসর, বাস্তবধর্মী চরিত্রায়ণ বলিউডকে নতুন শিক্ষা দিয়েছিল—নায়কও মানুষ, তারও অতীত আছে, ত্রুটি আছে।

‘শোলে’র দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ