তরুণীকে মালয়েশিয়ার যৌনপল্লীতে বিক্রি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
Published: 15th, August 2025 GMT
মাদারীপুরে এক তরুণীকে পাচার করে মালেশিয়ার যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগে সবুজ মৃধা নামে (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অবৈধ পথে ইউরোপ ও আমেরিকায়সহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার ও ধর্ষণসহ ১০টি মামলা রয়েছে সবুজ মৃধার নামে।
সবুজ মৃধা কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে। তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় কালকিনি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভঅরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.
তিনি জানান, ধর্ষণ, মানবপাচার, বিস্ফোরকসহ ১০টি মামলার আসামি মো. সবুজ মৃধাসহ বেশ কয়েকজন মিলে লিবিয়া ও মালয়েশিয়া দিয়ে ইতালি, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
ওই চক্রের মূলহোতা মো. সবুজ মৃধা উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের এক নারীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। পরে ওই নারী তার পরিবারের সহযোগীতায় দেশে ফিরে সবুজ মৃধাসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মাদারীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় কালকিনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে পলাতক অবস্থায় সবুজকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদি ওই নারী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাকে মালয়েশিয়া নিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় সবুজ মৃধা। পরে আমি দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি সবুজের বিচার দাবি করছি।”
কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত সবুজ মৃধার বিরুদ্ধে মানবপাচার, ধর্ষণ, বিস্ফোরক, সিআর ও অন্যান্য মামলাসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। আমরা বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।”
ঢাকা/বেলাল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সব জ ম ধ ক লক ন
এছাড়াও পড়ুন:
থানাহাজতে ফাঁস দিয়ে তরুণের আত্মহত্যার চেষ্টা, সিসি ক্যামেরায় দেখে উদ্ধার
পটুয়াখালীর বাউফল থানাহাজতে কম্বল ছিঁড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চুরির অভিযোগে আটক রাকিব সিকদার (২০) নামের এক তরুণ। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পুলিশ তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে।
রাকিব সিকদার বাউফল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন সিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পৌরসভার চন্দ্রপাড়া সড়কের পাশে আইনজীবী শহিদুল ইসলামের বাসভবনে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রাকিবকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে তাঁকে থানাহাজতে রাখা হয়। হাজতে তিনি একাই ছিলেন। রাত নয়টার দিকে দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহীন হাওলাদার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পান, রাকিব কম্বল ছিঁড়ে গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজতের দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এএসআই শাহীন হাওলাদার বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরায় হঠাৎ চোখ পড়তেই দেখি, রাকিব গলায় ফাঁস দিচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে নজর না পড়লে হয়তো কোনো অঘটনা ঘটত।’
আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে রাকিব বলেন, তিনি ওই বাসভবনের নিচে গাঁজা সেবন করেছিলেন, চুরি করেননি। কিন্তু তাঁকে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আসামিদের সুবিধার জন্য কম্বল দেওয়া হয়। সেই কম্বল দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা—এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাগ্য ভালো, দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সিসি ক্যামেরায় নজর পড়েছে, তাই কোনো অঘটন ঘটেনি।’ তিনি জানান, রাকিবকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।