‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে’
Published: 15th, August 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌর ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক রায়হান হাবিব তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনো ছাত্রলীগ বা অন্য কমিটির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। বর্তমান পৌর ছাত্রদলের কমিটিই আমার একমাত্র রাজনৈতিক ঠিকানা।’’
রায়হান হাবিব আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রায়হান হাবিব বলেন, ‘‘গত ১৩ আগস্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি, ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই ঘোষিত টুঙ্গিপাড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আমার ডাক নাম ‘ইয়েন মুন্সী’ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ওই কমিটি সম্পর্কে কখনো অবগত ছিলাম না। যদি ওই কমিটির সঙ্গে যুক্ত থাকতাম তাহলে আমার আসল নামই ব্যবহার হতো। কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হলে বায়োডাটা দিতে হয়। যারা আমার নামে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা অনুগ্রহ করে আমার দাখিলকৃত বায়োডাটা সামনে নিয়ে আসুক।’’
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন
ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি বহাল থাকবে: রাকিব
রায়হান হাবিব আরো বলেন, ‘‘আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক হয়ে থাকতে চাই।’’ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি এ ঘটনাকে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলের অপতৎপরতা বলে মনে করেন।
ঢাকা/বাদল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া