খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) কংচাইঞো মারমা (৩১) নামের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

নিহত কংচাইয়ের বিরুদ্ধে চলতি বছর ১৯ এপ্রিল জেলার মানিকছড়ির ছদুরখীল এলাকার রবি মোবাইল টাওয়ার মেরামতকাজে নিয়োজিত দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ ছিল।

নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, আজ ভোরে মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন নামের মগ লিবারেশন পার্টির এক সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোন। তাঁর কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাইঞো মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে ১টি গুলি করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে কংচাইঞো মারমা ওই ছাদ থেকে লাফ দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, দেড় বছর ধরে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে কংচাইঞো মারমা বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন। এ বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তিনি নিজেকে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিজীবী বলে উল্লেখ করেছিলেন। স্ত্রী–সন্তান নিয়মিত বাসায় থাকলেও তিনি মাঝেমধ্যে আসতেন।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক দিপা ত্রিপুরা বলেন, আজ সকাল ১০টার পর হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসে নিরাপত্তা বাহিনী। আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.

আরেফিন জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, কংচাইঞো মারমা সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মারমা মগ লিবারেশন পার্টির সিন্দুকছড়ির সদস্য। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ