খাগড়াছড়িতে অভিযান চলাকালে মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি)  আঞ্চলিক কমান্ডার কংচাইঞো মারমা (৩১) নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমএলপি নেতা মহালছড়ির অংসাজাই মারমার ছেলে। কংচাইঞো মারমা চলতি বছরের এপ্রিলে মানিকছড়ির ছদুরখীল থেকে রবি মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ান অপহরণের মূল হোতা বলে জানা গেছে।

নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিন্দুকছড়ি জোনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী সুজিত দের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কংচাইঞো মারমা ওই ভবনের দুইতলা থেকে লাফ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ১টি পিস্তল, ৫টি এলজি, ২১টি কার্তুজ ও ১৮টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপা ত্রিপুুরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই কংচাইঞো মারমার মৃত্যু হয়েছে। উঁচু স্থান থেকে পড়ায় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

ভবনটির মালিক সুজিত দে বলেন, ‘‘গত দেড় বছর ধরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই যুবক (কংচাইঞো মারমা) ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইস্পাত কোম্পানিতে কাজ করেন বলে ভাড়া নেওয়ার সময় তারা জানিয়েছিল।’’ 

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ সুরতহাল করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ 

এ দিকে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

রূপায়ন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে মগ লিবারেশন পার্টির নেতা নিহত

খাগড়াছড়িতে অভিযান চলাকালে মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি)  আঞ্চলিক কমান্ডার কংচাইঞো মারমা (৩১) নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমএলপি নেতা মহালছড়ির অংসাজাই মারমার ছেলে। কংচাইঞো মারমা চলতি বছরের এপ্রিলে মানিকছড়ির ছদুরখীল থেকে রবি মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ান অপহরণের মূল হোতা বলে জানা গেছে।

নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিন্দুকছড়ি জোনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী সুজিত দের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কংচাইঞো মারমা ওই ভবনের দুইতলা থেকে লাফ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ১টি পিস্তল, ৫টি এলজি, ২১টি কার্তুজ ও ১৮টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপা ত্রিপুুরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই কংচাইঞো মারমার মৃত্যু হয়েছে। উঁচু স্থান থেকে পড়ায় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

ভবনটির মালিক সুজিত দে বলেন, ‘‘গত দেড় বছর ধরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই যুবক (কংচাইঞো মারমা) ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইস্পাত কোম্পানিতে কাজ করেন বলে ভাড়া নেওয়ার সময় তারা জানিয়েছিল।’’ 

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ সুরতহাল করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ 

এ দিকে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

রূপায়ন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ