জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় একটি গভীর নলকূপের পাহারাদারকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কলিঙ্গা গ্রামের ফসিল মাঠের গভীর নলকূপের ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম আবু সাঈদ (৬০)। তিনি উপজেলার বেলগাড়ী গ্রামের প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি কলিঙ্গা গ্রামের নুর মোহাম্মদের গভীর নলকূপের পাহারাদার ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ প্রতি রাতেই গভীর নলকূপের পাহারার কাজ শেষে আবার ভোরে নিজ বাড়িতে ফিরে সাংসারিক কাজ করতেন। কিন্তু আজ ভোরে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। তখন তাঁর জামাতা গভীর নলকূপের ঘরে যান। তিনি গভীর নলকূপের ঘরের দরজা খোলা ও তাঁর শ্বশুরকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় চৌকির ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসীকে জানালে তাঁরা এসে থানায় খবর দেন। সকাল সাড়ে নয়টায় পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কলিঙ্গা গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, আবু সাঈদ একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁদের জানামতে, তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। কেন তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো বুঝতে পারছেন না।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আব্দুল করিম বলেন, গভীর নলকূপের পাহারাদার আবু সাঈদকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। গভীর নলকূপের ঘর থেকে তাঁর হাত-পা বাঁধা গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ