নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাগিং করলে ব্যবস্থা
Published: 17th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরিচিতি (ওরিয়েন্টেশন) ক্লাসের মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
নবীনদের বরণ করতে রঙিন আলপনা, ফুল ও সৃজনশীল সাজসজ্জায় বিভাগগুলো বর্ণিল করে তোলা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল, কলম, কারিকুলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী। পরিচিতি ক্লাসে শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেন। এদিকে নবীনদের র্যাগিং করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর মতিহারের সবুজ চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বর, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ইবলিশ চত্বর, টুকিটাকি চত্বর ও আমতলায় নতুন–পুরোনো শিক্ষার্থীদের আড্ডা বসেছে। হাতে ফুল নিয়ে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। প্যারিস রোডসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন তাঁরা। নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও এসেছেন।
পরিচিতি ক্লাস শেষে মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে কথা হয় অর্থনীতি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোছা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নব ন শ ক ষ র থ দ র পর চ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে পারেননি
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে পারেননি। অভিভাবকেরা স্কুলের অধ্যক্ষকে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে আহ্বান জানালে তিনি আসেননি। পরে অভিভাবকদের স্মারকলিপি না দিয়েই ফিরতে হয়েছে।
অভিভাবকেরা জানান, ১২ আগস্ট তাঁরা ৯টি দাবিতে মানববন্ধন করেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো মেনে নেয়নি। উল্টো অভিভাবকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন। এগুলোর জবাব চেয়েই তাঁরা স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সময় দেওয়া ছিল দুপুর ১২টা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সোয়া ১২টার দিকে অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরাও পৌঁছাতে থাকেন। সাড়ে ১২টার দিকে অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে সাংবাদিকদেরসহ ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করেন। তখন ফটকের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। অভিভাবকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংবাদিকসহ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়েই তাঁরা স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে যান।
ভেতরে যাওয়ার পর অভিভাবকদের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় সভাকক্ষে নিয়ে বসানো হয়। সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ আলম। তখন অভিভাবকেরা জানান, তাঁরা চান কনফারেন্স কক্ষে এসে মিডিয়ার সামনে অধ্যক্ষ স্মারকলিপি গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষের কাছে তাঁদের কিছু সরাসরি জিজ্ঞাসা রয়েছে। মাসুদ আলম তখন চলে যান। প্রায় পাঁচ মিনিট পর মাসুদ আলম মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুলকে সঙ্গে করে কনফারেন্স কক্ষে ফিরে আসেন।
তখন অভিভাবকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন মিলে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসতে। কিন্তু অভিভাবকেরা প্রথমে এতে রাজি হননি। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে চান। এ প্রস্তাবে আবার স্কুল কর্তৃপক্ষ সায় দেয়নি। শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওই দুজন প্রতিনিধি অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চলে যান। অভিভাবকেরাও কনফারেন্স কক্ষ থেকে বেরিয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা