রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে পারেননি। অভিভাবকেরা স্কুলের অধ্যক্ষকে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে আহ্বান জানালে তিনি আসেননি। পরে অভিভাবকদের স্মারকলিপি না দিয়েই ফিরতে হয়েছে।

অভিভাবকেরা জানান, ১২ আগস্ট তাঁরা ৯টি দাবিতে মানববন্ধন করেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো মেনে নেয়নি। উল্টো অভিভাবকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন। এগুলোর জবাব চেয়েই তাঁরা স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সময় দেওয়া ছিল দুপুর ১২টা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সোয়া ১২টার দিকে অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরাও পৌঁছাতে থাকেন। সাড়ে ১২টার দিকে অভিভাবকেরা স্মারকলিপি দিতে সাংবাদিকদেরসহ ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করেন। তখন ফটকের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। অভিভাবকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংবাদিকসহ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়েই তাঁরা স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে যান।

ভেতরে যাওয়ার পর অভিভাবকদের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় সভাকক্ষে নিয়ে বসানো হয়। সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ আলম। তখন অভিভাবকেরা জানান, তাঁরা চান কনফারেন্স কক্ষে এসে মিডিয়ার সামনে অধ্যক্ষ স্মারকলিপি গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষের কাছে তাঁদের কিছু সরাসরি জিজ্ঞাসা রয়েছে। মাসুদ আলম তখন চলে যান। প্রায় পাঁচ মিনিট পর মাসুদ আলম মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুলকে সঙ্গে করে কনফারেন্স কক্ষে ফিরে আসেন।

তখন অভিভাবকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন মিলে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসতে। কিন্তু অভিভাবকেরা প্রথমে এতে রাজি হননি। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে চান। এ প্রস্তাবে আবার স্কুল কর্তৃপক্ষ সায় দেয়নি। শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওই দুজন প্রতিনিধি অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চলে যান। অভিভাবকেরাও কনফারেন্স কক্ষ থেকে বেরিয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম রকল প র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের ৫টি ওয়াগন লাইনচ্যুত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশন এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আমনুরা-রহনপুর স্টেশনের মেইন রেললাইন ব্লক হয়ে গেছে।

আটকা পড়েছে রাজশাহীগামী একটি কমিউটার ও ঈশ্বরদীগামী আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জুনায়েদ আল মামুন বলেন, ‘‘তেলবাহী ট্রেনটি খুলনা থেকে আমনুরা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। এতে মোট ৩০টি ওয়াগন ছিল, এর মধ্যে পাঁচটি লাইনচ্যুত হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ট্রেন আটকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

৬ ঘণ্টা পর রেলপথ ছাড়লেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

তিনি আরো বলেন, ‘‘ট্রেনটি আমনুরা স্টেশনে প্রবেশের সময় লাইনচ্যুত হয়। এতে আমনুরা-রহনপুর স্টেশনের মেইন রেললাইন ব্লক হয়ে দুটি ট্রেন আটকা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।’’

আমনুরা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাবিবুল হোসেন বলেন, ‘‘মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে রেললাইন স্বাভাবিক করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শিয়াম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ