রাঙামাটি সদর উপজেলাল জীবতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যহাতিরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে স্কুলের ফটক, বেঞ্চ ও ব্লাকবোর্ড নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কোনো ধরনের প্রাণহানি ঘটেনি।

আবারো হাতি আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মনেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার জীবতলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ায় অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে হাতি আহত

কক্সবাজারে বন্যহাতির অস্তিত্ব সংকট, করিডোর হারিয়ে বিলুপ্তির শঙ্কা

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.

মনিরুজ্জামান বলেন, “জীবতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতির তাণ্ডবের বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছে। আমি বলেছি, ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ উল্লেখ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে।”

জীবতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা বলেন, “৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া জীবতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার দিবাগত রাতে বন্য হাতির পাল স্কুলের তাণ্ডব চালিয়েছে। হাতির তাণ্ডবে স্কলের ফটক, বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ড নষ্ট করে দিয়েছে। তবে রাতে হাতির তাণ্ডবে কোনো ধরনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটেনি।”

তিনি বলেন, “স্কুলের ক্লাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে। বন্য হাতিরা দূরত্বে চলে গেলে আবারো বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”

ঢাকা/শংকর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ