যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 17th, August 2025 GMT
যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে তিনজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিক।
গত শুক্রবার রাত তিনটার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মোস্তফাপুর সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা শার্শা উপজেলার শালকোনা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠান। পরে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শেখপাড়া এলাকার শাহিন শেখ (৩০) ও সাগর শেখ (২৮) এবং ভারতের আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়া থানার ভৌতিচর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (২৫)।
পুলিশ জানায়, শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা শুক্রবার রাত তিনটার দিকে টহল দেওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তের কাছে উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে তিনজনকে আসতে দেখেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, বিএসএফ কাঁটাতার পার করে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। পরে পুলিশ পরে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক শাহিন শেখ সাংবাদিকদের জানান, তিনি ও তাঁর ভাই সাগর শেখ ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় পুলিশ তাঁদের আটক করে। পরে তাঁদের সীমান্তে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কয়েক দিন ক্যাম্পে আটকে রাখার পর শুক্রবার রাত তিনটার দিকে তাঁদের সীমান্ত পার করে দেয় বিএসএফ।
তাঁদের সঙ্গে থাকা ভারতীয় নাগরিক সম্পর্কে শাহিন শেখ জানান, তাঁরা তাঁকে চেনেন না। বিএসএফ ক্যাম্পে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই বাংলাদেশিকে বেসরকারি সংগঠন জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংগঠনটি তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ আটক তিনজনের নামে মামলা
রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম।
এতে ওই অভিযানে আটক তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোন্তাসেরুল আলম ওরফে অনিন্দ্য (৩৩) এবং তাঁর দুই সহযোগী মো. রবিন (২৮) ও মো. ফয়সাল (৩০)।
এ সম্পর্কে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরের মধ্যে তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোতালেব হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
গ্রেপ্তার মোন্তাসেরুল আলম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় বাড়ির পাশে ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন মোন্তাসেরুল আলম।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে অভিযানে অস্ত্র–গুলি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, পুকুরে তল্লাশি ২০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দুরবিন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশি অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ডেগার, উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, টিজার গান, অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি-বিদেশি মদ এবং নাইট্রোজেন কার্টিজ। এ ছাড়া অস্ত্রের খোঁজে কোচিং সেন্টারের সামনে পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা খোঁজ করেও কিছুই পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে ডুবুরি নামিয়ে পুকুরে তল্লাশি, মেলেনি অস্ত্র১৫ ঘণ্টা আগেমোন্তাসেরুল আলম ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ‘সন্দেহভাজন আসামি’ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে মামলার অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।