রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগে এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তিসহ স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় প্যারিস রোডে এ দাবিতে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ড.

প্রভাস কুমার কর্মকার। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং জনসংযোগ দপ্তরের সাবেক প্রশাসক । ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী।

আরো পড়ুন:

জাকসুর মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে সময় বৃদ্ধির দাবি 

ডাকসু নির্বাচন: ষষ্ঠ দিনে ৬৪ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ

এর আগে, গত ৪ আগস্ট বিভাগে অভিযুক্ত শিক্ষক তার ব্যক্তিগত কক্ষে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে বলে বিভাগের সভাপতি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী সালমান সাব্বির বলেন, “অধ্যাপক প্রভাস কুমার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তার চেম্বারে ডেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত করেন। মূলত, ক্লাসে উপস্থিতির হার সে ওই শিক্ষকের চেম্বারে যায়। তখন শিক্ষক তাকে অন্য একদিন ফোন দিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে সে শিক্ষকের কক্ষে গেলে শিক্ষক তাকে সাজেশনের কথা বলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেন এবং ছবি তুললে নিষেধ করেন। শুধু খাতায় লিখতে বলেন।”

তিনি বলেন, “এই সময় অভিযুক্ত শিক্ষক তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অশোভন স্পর্শ করেন এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন। এই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। তার সঙ্গে খুবই মর্মান্তিক ও বিকৃত মস্তিষ্কের ঘটনা ঘটেছে। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাকে সাইকোলজিস্ট দেখানো হয়েছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তার পরিবারও ভেঙ্গে পড়েছে।”

আরেক সহপাঠী তানজিনা খান বলেন, “এখানে শুধু একজন ভিক্টিম নয়, ভিক্টিম পূর্বেও ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকতে পারে। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমরা এই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। যেহেতু তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে বিভাগ থেকে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই রিপোর্ট আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি। যাচাই বাছাই করে তারা বাকি ব্যবস্থা নেবেন।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি উবায়দুর রহমান সেলিমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সেলিম উপজেলার ইটনা সদর ইউনিয়নের পশ্চিমগ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ইটনা উপজেলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল গ্রেপ্তারের তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে ঠিকাদারির টাকা নিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

জাফর ইকবাল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ইটনা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সেলিম। বিকালে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ