লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পঁয়ষট্টিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। পরে তাঁদের আটক করে থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছাত্তারকোনা গ্রামের আবু সিদ্দিক (৫০) ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের রানু মোল্লা (৬০)। তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন বলে বিজিবিকে জানিয়েছেন।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৫ নম্বরের সীমান্ত দিয়ে কোচবিহার ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিএসবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দুজনকে ঠেলে পাঠান। খবর পেয়ে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা–২) পঁয়ষট্টিবাড়ী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে প্রধানপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করেন। ওই ব্যক্তিরা বিজিবিকে জানান, বছরখানেক আগে অবৈধভাবে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে যান। পরে ভারতের গুজরাট এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো দুই ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন
  • মেহেরপুর সীমান্তে ১২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ