পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম
Published: 17th, August 2025 GMT
সবুজ মাঠ। যত দূর চোখ যায় বাহারি গাছের সারি। কখনো দেখা মেলে চঞ্চল হরিণের। নেই অযথা শহুরে কোলাহল। এমনই প্রকৃতির মধ্যে একটি বাড়িকে নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম। ওই বাড়িতে তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী কেট মিডলটন এবং তিন সন্তান—জর্জ, চার্লট ও লুইস।
প্রকৃতির সঙ্গে বাড়ির নামেরও মিল রয়েছে—ফরেস্ট লজ। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর গ্রেট পার্কের এ বাড়িটিতে আটটি শোবার ঘর রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে পরিবার নিয়ে উইলিয়াম বাড়িটিতে উঠবেন বলে আজ রোববার জানিয়েছেন রাজপরিবারের একজন মুখপাত্র। বর্তমানে উইন্ডসরের অ্যাডেলেইড কটেজে অবস্থান করছেন তাঁরা। ফরেস্ট লজ থেকে এ বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত।
রাজপরিবারের সদস্যরা উঠবেন, তাই চলতি মাসের শুরুর দিকে ফরেস্ট লজে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়। স্থানীয় কাউন্সিলের নেওয়া সিদ্ধান্তে বাড়িটির একটি জানালা প্রতিস্থাপন এবং একটি ফায়ারপ্লেস মেরামতের কথা বলা হয়েছে। এর আগে ২০০১ সালে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়েছিল। তখন খরচ হয়েছিল ২০ লাখ ডলার।
প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট এই প্রথম নতুন বাসায় উঠছেন—বিষয়টি এমন নয়। রাজপরিবারের একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগস্টে সন্তানদের স্কুল চলাকালে পরিবার নিয়ে লন্ডনের বাইরে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখন অ্যাডেলেইড কটেজে উঠেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের একটি ‘সাধারণ পারিবারিক’ জীবন দেওয়া।
এরপর দীর্ঘ একটি সময় সংকটের মধ্যে কাটে উইলিয়াম ও কেট দম্পতির। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা শুরু হয় প্রিন্সেস অব ওয়েলসের। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেমোথেরাপি নেওয়া শুরু করেন তিনি। চিকিৎসার এই সময়ে অন্তরালে চলে যান। গত গ্রীষ্মকালে শুধু তাঁকে কয়েকবার দেখা গিয়েছিল। এরপর গত সেপ্টেম্বরে কেট জানান, ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন তিনি।
ক্যানসারে আক্রান্ত থাকার দিনগুলোতে পরিবারের সঙ্গে অ্যাডেলেইড কটেজেই থেকেছেন কেট। সময়টা দীর্ঘ ১৮ মাস। রাজপরিবারের একজন বিবিসিকে বলেন, অ্যাডেলেইড কটেজে তাঁদের খুবই কঠিন সময় কেটেছে। নতুন ঠিকানা তাঁদের নতুন করে শুরু করার এবং নতুন অধ্যায়ে পা রাখার সুযোগ দেবে। কষ্টের স্মৃতিগুলো ঝেড়ে ফেলার সুযোগও করে দেবে এটি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জপর ব র র পর ব র র উইল য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে