স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
Published: 21st, September 2025 GMT
গাইবান্ধায় শিউলী বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফরিদ উদ্দীনের (৪৫) বিরুদ্ধে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিউলী বেগম কাটাবাড়ী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ ড্রাইভারের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে শিউলী ও ফরিদের বিয়ে হয়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ফরিদ। ফরিদের প্রথম স্ত্রীর ঘরেও দুই সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) রশিদুল বারী।
নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়া ড্রাইভার ও স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় মেয়েকে (শিউলি) বিভিন্ন অজুহাতে গায়ে হাত তুলতেন ফরিদ। শিউলীকে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়েছে সে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ফরিদের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। শিউলী ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। নিহতের গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ফরিদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
ঢাকা/মাসুম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গলে মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কামাল খান (৬৩) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চারান উত্তর পাড়া গ্রামের জঙ্গলের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি একই গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কামাল পরিবারসহ রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন গৃহস্থলী ও আবাদী জমি দেখাশুনার জন্য। মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আজ সকালে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে ব্রিজের নিচে মিলল সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ
বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, “নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশের জঙ্গলে ফেলে গেছে সন্ত্রাসীরা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ