জিমখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক ২৪, ৫ জনকে কারাদণণ্ড
Published: 25th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে আটকদের মধ্যে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ১৯ জনকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে- জিমখানা রেলওয়ে কলোনী এলাকার মো.
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীসহ সদর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন।
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর অভিযানে জিমখানা এলাকার তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি আলম চাঁন ও দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়।
এসময় আলম চাঁন এর বসতঘরে তল্লাশি করে আনুমানিক দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, বড় আকারের ৩টি ছোঁড়া, ১টি স্টীলের চাপাতি, ১টি টেঁটা ও ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
আলম চাঁনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ইতিপূর্বে ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।
এছাড়া নারী পুলিশের সহায়তায় ২৪ পিস ইয়াবাসহ পারভীন আক্তার (৩৫) এবং ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আফরিনা হাসি (৫০) নামে দুই নারী মাদক বিক্রেতাকে আটক করা হয়।
তাদের দুজনের বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির বলেন, ‘জিমখানা লেক পাড় এলাকায় মাদক বেচাকেনা ও সেবন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
এসময় বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ও বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে যাচাই বাছাই শেষে ১৯ জনকে আটক করে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয় এবং ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন একাধিক মাদক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, উঠতি বয়সের কিশোর ও তরুণরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় জেলায় কিশোর গ্যাং, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক য বক ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ অপর ধ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।