সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়। তাদের অংশগহণ বাড়াতে পাঁচ দফা সুপরিশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্র্যাকের ‘ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর দি ওমেন অ্যান্ড ইয়থ ইন কক্সবাজার প্রকল্পের এক জরিপে দেখা যায়, কক্সবাজারে মার্কেট ও হোটেল খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ রয়েছে। তবে এসব খাতে এখনো নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে কম।  

আরো পড়ুন:

প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েই জ্যোতিদের বিশ্বকাপের মিশন

কাশবনে নারীর লাশ: ‘খুনি’ ঋণগ্রস্ত স্বামী, বলছে পুলিশ

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসি সংলাপে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। আইজেক প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগহণ বাড়াতে পাঁচ দফা সুপরিশ করা হয়।  

নারীদের কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নে উঠে আসা সুপারিশমালার মধ্যে নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা, স্থানীয় বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ টয়লেট নির্মাণ, হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন’ স্বীকৃতি প্রদান করে নারী-সহায়ক নীতি বাস্তবায়নকে উৎসাহিত করা এবং নারী শ্রমিকদের অভিযোগ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ উল্লেখযোগ্য।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো যৌথভাবে কাজ করা জরুরি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। 

অনুষ্ঠানে এই সংক্রান্ত জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের প্রধান মাসুমা বিল্লাহ। স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন ব্র্যাক-এর আইজেক প্রকল্পের প্রধান খন্দকার ফখরুল আলম। 

সংলাপ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মুরশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক, বাজার কমিটি, নারী উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ অর্ধশতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।  

কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, “আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চাই। তবে সে কাজ বাস্তবায়নে পর্যটন খাতে অবশ্যই নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “যেকোনো কিছু টেকসই করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরাপত্তা। কক্সবাজারে নারী-পুরুষসহ সব পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চাই। তবে সেটির জন্য পর্যটনখাতে অবশ্যই নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কাজী রওশন আরা বলেন, “বাজার ও হোটেল খাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো ও নীতি বাস্তবায়ন জরুরি। এতে শুধু নারীর কর্মসংস্থানই নয়, পুরো অর্থনীতি উপকৃত হবে।”

মাসুমা বিল্লাহ বলেন, “সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নারীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই বিভিন্ন বাধার কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এসব খাতে নারীদের কর্মসংস্থান বাড়লে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

ঢাকা/তারেক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র র জন য গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ