এস আলমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ
Published: 25th, September 2025 GMT
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ জালিয়াতির এক মামলায় শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
এস আলমের দুই ভাই হলেন–এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান। তাদের বিরুদ্ধেও বিদেশ থেকে অর্থ পাচার ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, “তদন্তকালে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তবে আমাদের নজরে এসেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মো.
ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সালে দখলের পর গ্রুপটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক দখল করে নেয়। সব মিলিয়ে তারা একসঙ্গে ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর গ্রুপটি এসব ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায়। বর্তমানে গ্রুপের আগের ঋণগুলো একে একে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিলামে তোলা হচ্ছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টিপু মুনশি, মুজিবুল হক, শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ সাত ব্যক্তির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ শিহাবুল ইসলাম আজ রোববার এ আদেশ দেন।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ হয়েছে, তাঁরা হলেন—টিপু মুনশির স্ত্রী মালবিকা মুনশি, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা পৃথক আবেদনে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চান। আদালত সেসব আবেদন মঞ্জুর করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা তদন্তের স্বার্থে তাঁদের আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।