আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ জালিয়াতির এক মামলায় শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

এস আলমের দুই ভাই হলেন–এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান। তাদের বিরুদ্ধেও বিদেশ থেকে অর্থ পাচার ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপু‌টি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছিলেন। 

আবেদনে বলা হয়, “তদন্তকালে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তবে আমাদের নজরে এসেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মো.

সাইফুল আলম, আব্দুস সামাদ এবং মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার প্রার্থনা করছি।”

ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সালে দখলের পর গ্রুপটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক দখল করে নেয়। সব মিলিয়ে তারা একসঙ্গে ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর গ্রুপটি এসব ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
 
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায়। বর্তমানে গ্রুপের আগের ঋণগুলো একে একে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিলামে তোলা হচ্ছে। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস আলম

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ