৭ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ভোটকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখরভাবে ভোট প্রদান করছেন। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় বহিরাগতদের জমায়েত এবং বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন:

গকসু নির্বাচন: সকালেই ভোটারদের সরব উপস্থিতি

চতুর্থ গকসু নির্বাচন, ভোটগ্রহণ শুরু

নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভোটার, প্রার্থী ও অনুমোদিত সাংবাদিক ব্যতিত কাউকে প্রবেশের অনুমতি নেই। তবু কিছু সাবেক শিক্ষার্থী এবং অচেনা মুখ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক রাজিব রোমনের নজরে আনা হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ক্যাম্পাসে মোতায়েন আছেন ৩৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ বহিরাগতদের একটি দল ক্যাম্পাসে ভিড় জমিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। এতে ভোটাররা নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছেন। পাশাপাশি, বহিরাগতদের মাধ্যমে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার অভিযোগও উঠেছে।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী মো.

জাহিদ হাসান বলেন, “আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। পুলিশ থাকলেও বিভিন্ন অচেনা এবং বহিরাগত চেহারা ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”

নির্বাচন কমিশনের সদস্য আলী আজম খান জানান, “ক্যাম্পাসের ভেতরে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। বাইরে ঘটমান পরিস্থিতি আমাদের নজরে আসেনি। তবে সত্যিই যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গকস

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ