কক্সবাজারের মহেশখালীতে নলকূপ খননের সময় ভূগর্ভ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুহাম্মদপুর তেলিপাড়া এলাকার একটি বাড়ির ঘটনা এটি। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নলকূপ খনন কাজের পাম্প মেকানিক নুরুল কবির বলেন, “প্রায় ১৭৪ ফুট গভীরে পৌঁছালে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বের হতে থাকে। এতে লোহার খুঁটিতে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।”

ইউএনও হেদায়েত উল্যাহ বলেন, “জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের মতে, এটি ‘পকেট গ্যাস’। 

তিনি আরো বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শিল্পকারখানায় ব্যবহারের প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, বরং জৈব পদার্থ পচে তৈরি অস্থায়ী দাহ্য গ্যাস, যাকে ‘পকেট গ্যাস’ বলা হয়।”

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়ায় নলকূপ খননের সময় একইভাবে গ্যাস বের হয়েছিল। 

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র