মহেশখালীতে নলকূপ খননের সময় বেরিয়ে এলো ‘পকেট গ্যাস’
Published: 25th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে নলকূপ খননের সময় ভূগর্ভ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুহাম্মদপুর তেলিপাড়া এলাকার একটি বাড়ির ঘটনা এটি। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নলকূপ খনন কাজের পাম্প মেকানিক নুরুল কবির বলেন, “প্রায় ১৭৪ ফুট গভীরে পৌঁছালে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বের হতে থাকে। এতে লোহার খুঁটিতে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।”
ইউএনও হেদায়েত উল্যাহ বলেন, “জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের মতে, এটি ‘পকেট গ্যাস’।
তিনি আরো বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শিল্পকারখানায় ব্যবহারের প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, বরং জৈব পদার্থ পচে তৈরি অস্থায়ী দাহ্য গ্যাস, যাকে ‘পকেট গ্যাস’ বলা হয়।”
এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়ায় নলকূপ খননের সময় একইভাবে গ্যাস বের হয়েছিল।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আনোয়ারায় মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী কয়েক মাস ধরে আনোয়ারা এলাকায় রয়েছেন। ধর্ষণের কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে তিনি কাতরাচ্ছিলেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করেন। এরপর জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছেন। চিকিৎসার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ারার ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, স্থানীয়ভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।