সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় শেষ হয়।

আরো পড়ুন:

শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করল জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

ছাত্রদলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল ঘোষণা

নির্ধারিত সময়ের পর কোনো ভোটারকে আর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে যারা তখনও লাইনে ছিলেন, তারা ভোট দিতে পেরেছেন।

ভোটগ্রহণকে ঘিরে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পুরো ক্যাম্পাসে মোতায়েন ছিলেন ৩৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছিল সিসি ক্যামেরা, যা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডে জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিনে সম্প্রচার হয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ও কুইক রেসপন্স টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দাবি, এবারের গকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তৎপরতার ফলে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।

সারা দিন ট্রান্সপোর্ট চত্বরে জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিনে ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। এখন সেখানে ভোটগণনা চলছে, যা সরাসরি দেখছেন প্রার্থী-সমর্থক ও ভোটাররা। বর্তমানে ফলাফলের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীসহ সবাই।

ঢাকা/সানজিদা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স: এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই–ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার—

প্রতিযোগিতার প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি প্রথম রানার্সআপ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ট্র্যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানার্সআপ ও শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও ২ দিনের ব্যাংকক ভ্রমণ, প্রথম রানার্সআপ দল ৮০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন—

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : দেখে নিন আবেদনের নিয়মাবলি১৩ নভেম্বর ২০২৫

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস–বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অতিথিদের কথা—

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও মননশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে নতুন সুযোগ দিল ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি অর্থের অপচয় রোধ এবং জনস্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তাত্ত্বিক জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি এর প্রায়োগিক সফলতা নিয়েও কাজ করতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণেরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ