দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) পৌর ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়ে ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন করাতকল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও গোলাপ হোসেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত আগস্ট মাসে সহকারী তহশিলদার জিল্লুর রহমান ফোন করে জানান যে, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ০১৯৪৮৭১০১৭৮ নম্বর থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বলেন, যৌথ বাহিনী নিয়ে তাদের করাতকলে অভিযান চালানো হবে। মামলা হলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা হতে পারে। তবে, যদি তারা ৫৫ হাজার টাকা দেন, তাহলে রক্ষা পাবেন। ব্যবসায়ীরা তার দেওয়া ০১৬২৪৯৮২০৬১ বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে সেই নাম্বারে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পেরে তারা বুঝতে পারেন যে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

অভিযোগকারীরা মনে করছেন, সহকারী তহশিলদার জিল্লুর রহমানের যোগসাজশেই এ কাণ্ড ঘটেছে। বিষয়টি লিখিতভাবে ইউএনওকে জানালে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

অভিযোগ বিষয়ে সহকারী তহশিলদার জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমাকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ফোন দিয়ে করাতকল ব্যবসায়ীদের নাম্বার চেয়েছিলেন। আমি সরল বিশ্বাসে নাম্বারগুলো দিয়েছি এবং ব্যবসায়ীদেরও জানিয়েছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।

হাকিমপুরের (হিলি) সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

সাব্বির হোসেন জানিয়েছেন, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে এবং থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

হাকিমপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেছেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/মোসলেম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্যের সমন্বয়ে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে অনতিবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বুধবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, আদিবাসী কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করে বরং খাগড়াছড়ির নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এতে ৩ জন নিহত, অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উসকানিমূলক বক্তব্য খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন এক কোটি টাকা করে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন পঁচিশ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সরকারি খরচে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবিও জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র