পিটিয়ে নদে ফেলার দুই দিন পর ভেসে উঠল যুবকের লাশ
Published: 25th, September 2025 GMT
পূর্বশত্রুতার জেরে দুজনকে পিটিয়ে নদে ফেলার দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে মো. শাহীন (২৬) নামের এক যুবকের লাশ তুরাগ নদে ভেসে উঠেছে। মোশাররফ হোসেন (৩০) ওই দিনই ঘটনার পর সাঁতার কেটে নদের পাড়ে উঠতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শাহীনের ভাই মো. শামীম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, শাহীন পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। তাঁকে নিয়ে তিনি আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ে থাকতেন। শাহীন অবিবাহিত ছিলেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী।
মো.
রাজধানীর দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব–উল–হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, জনতা ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহীন ও মোশাররফকে পিটিয়ে তুরাগ নদে ফেলে দেন। ঘটনার পর মোশাররফ সাঁতার কেটে নদের পাড়ে ওঠেন। এ সময় নিখোঁজ ছিলেন শাহীন। সকালে দীপনগর–সংলগ্ন তুরাগ নদে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে।
ওসি আরও জানান, দারুসসালাম থানা–পুলিশ শাহীনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। লাশে পচন ধরেছে।
এর আগে গত ২৫ মে দারুসসালাম থানার আহম্মদনগরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় জনতা মাদক কারবারি সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।