তারাগঞ্জে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, ছাত্রদল ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি
Published: 25th, September 2025 GMT
রংপুরের তারাগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের এক অফিস সহায়কের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণের পর সেই ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রদল পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে। তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের এই ঘটনা জানাজানির পর অভিযুক্ত অফিস সহায়ককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
ভিডিও চিত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রশিদুজ্জামান (বিপ্লব) সেবাপ্রার্থীদের থেকে অবৈধভাবে টাকা নেন। এটি গোপনে ভিডিও করা হয়। পরে সেই ভিডিও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে চলে যায়। সেই ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে ওই অফিস সহায়কের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়।
অফিস সহায়ক রশিদুজ্জামান বলেন, ‘দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। ৪৭ হাজার টাকা দিয়েছি। রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ফরিদুল, রনি, সিয়াম ও মেজবাউল ইসলাম ৩০ জনের কথা বলে টাকাগুলো নেয়।’
এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মেজবাউল হাসান খান স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, অফিস সহায়ক রশিদুজ্জামানের কাছ থেকে ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবির চাঁদাবাজি করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ছাত্রদলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন (কাজল) বলেন, ‘ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতারা চাঁদাবাজি করেছেন। তাই সংগঠনের প্যাডে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি দেওয়ার পর সেটিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে গতকাল বুধবার একটি বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা জামায়াত। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার ছাত্রদলের উপজেলা শাখার প্যাডে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ভূমি কার্যালয়ের এক কর্মচারীর কাছ থেকে ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-শিবির চাঁদাবাজি করছে। বিষয়টি ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার হয়। এ ঘটনায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত নন। এটি হাস্যকর, আজগুবি ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ছাত্রদলের তথাকথিত বিবৃতির সঙ্গে জামায়াত বা শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করেছে। তাঁরা এ ব্যাপারে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অফিস সহায়ক রশিদুজ্জামানকে বদলি করা হয়েছে। জানতে চাইলে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, সামগ্রিকভাবে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ওই কর্মচারীকে হাড়িয়ারকুঠি থেকে মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র উপজ ল এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।