শতবর্ষী চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক পদে নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ৩৪ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন বাদ পড়েছেন ঋণখেলাপি ও ভ্যাট রিটার্ন না থাকার কারণে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৭১ জন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক প্রার্থী বাদ পড়েছেন।

চেম্বার সূত্র জানায়, ২১ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ বছর চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ড থেকে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব নথি ও তথ্য জমা দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী। তবে আগামী শনিবার পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ আছে তাঁদের। আগামী ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা।

এ বছর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত কর, ভ্যাট, শুল্ক পরিশোধের সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ও ঋণখেলাপি কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল প্রত্যয়ন সনদ (সিআইবি) জমা দিতে হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা ভোগের পাঁচ বছর পার না হলেও প্রার্থী হওয়া যাবে না।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেক বলেন, এবার সাধারণ শ্রেণিতে ৪৭টি, সহযোগী শ্রেণিতে ১৭টি এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে ৩টি করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে টাউন অ্যাসোসিয়েশনে কারও প্রার্থিতা টেকেনি। সাধারণ শ্রেণিতে ২৫টি, সহযোগীতে ৯টি ও ট্রেড গ্রুপে ৩টি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

খেলাপির দায়ে বাদ দলনেতা

এবারের নির্বাচনে দলনেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম চেম্বার ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) সভাপতি আমজাদ হোসাইন চৌধুরী।

গতকাল বুধবার প্রকাশ হওয়া বৈধ প্রার্থীর তালিকায় আমজাদ হোসাইন চৌধুরীর নাম নেই। নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক না থাকায় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ না থাকায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। তিনি রাইজিং কম্পিউটার স্কেল নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটার ও প্রার্থী হয়েছিলেন।

জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইবি প্রতিবেদন সবাইকে দেয় না। ব্যবসায়ীদের জন্য এগুলো পাওয়া কঠিন। তবুও সময় আছে, আমরা আপিল করব।’

* বাদ পড়েছেন দলনেতা হিসেবে আলোচনায় থাকা একজন প্রার্থীও।
* আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
* এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০।

আমজাদ হোসেন চৌধুরী তাঁর দলে কারা কারা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, সে তালিকা প্রকাশ করতে চাননি। এ বছর টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ছয় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন না থাকায় টাউন অ্যাসোসিয়েশন থেকে সবার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

বাদ যাওয়া প্রার্থীদের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ৩৪ জনই বাদ গেছেন সিআইবি প্রতিবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট রিটার্ন না থাকায়। এর মধ্যে চারজনের সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন অ্যাকর্ড হোল্ডিংসের শাহজাহান মো.

মহিউদ্দিন, গ্রিন ওয়ার্ল্ডের মাহবুব রানা, মিল্টন ডেকোরেটরসের সিয়াজদুল আলম চৌধুরী ও ন্যামসান কনটেইনার লিমিটেডের শাহ নেওয়াজ মো. আলী চৌধুরী।

বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন নেই আটজনের এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ জমা দেননি এমন প্রার্থী আটজন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মার্স শিপিংয়ের মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ, ফোর হুইলারসের মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মনোয়ারা ট্রেডিংয়ের মো. মশিউল আলম ও মেরিডিয়ান ফুডসের এস এম কামাল।

জানতে চাইলে একটি প্যানেলের দলনেতা আমিরুল হক বলেন, আগের যিনি প্রশাসক ছিলেন, সিআইবি নিয়ে ন্যূনতম ধারণা ছিল না তাঁর। তাঁরা নিজেরা চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এগুলো নিতে পারতেন। যাঁরা বাদ পড়েছেন, আপিলের সুযোগ আছে এখনো।

সমীকরণ এখন যা দাঁড়াল

২০১৩ সালের পর এবারই সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বারে। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ও চেম্বারের সংঘবিধি অনুযায়ী, চেম্বারে ২৪টি পরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মধ্যে ১২টি পদ সাধারণ শ্রেণিতে, ৬টি সহযোগী এবং ৩টি করে পদ টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ থেকে।

টাউন অ্যাসোসিয়েশনে কোনো বৈধ প্রার্থী না থাকায় আলোচনায় এসেছে, যদি তাঁরা আপিলের পরও বৈধ না হন, তবে এই শ্রেণি থেকে পরিচালক কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে। তবে চেম্বার জানায়, তারা এখনো ২৪ পদের নির্বাচন মাথায় রেখেই কাজ করছে।

এ বিষয়ে চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আপিলের সুযোগ আছে। এরপরও যদি প্রার্থী না থাকে, এগুলো খালি রেখেই নির্বাচন হবে। আমরা ২৪ পদের নির্বাচন মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধি ১০ এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ৫ জন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আমজ দ হ স দলন ত সহয গ স আইব এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ

আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।

সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।

এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।

সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।

৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’

কারা আছে তালিকায়

দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।

দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।

১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।

২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।

কীভাবে এই মূল্যায়ন

৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।

ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।

এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।

কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।

জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:

বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;

কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;

কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;

সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;

কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ