পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না: ট্রাম্প
Published: 26th, September 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইসরায়েলের কিছু উগ্র ডানপন্থী নেতা দেশটির সঙ্গে পশ্চিম তীর যুক্ত করে সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তাঁরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে ধূলিসাৎ করতে চান। তাঁদের এ আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরকে তাঁর দেশের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে মিত্রদের চাপের মুখে আছেন। বিষয়টি আরব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না, কোনোভাবেই না। এটা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামতে হবে।’
ট্রাম্প এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিলেন। আজ শুক্রবার সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি।
দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে গত কয়েক দিনে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে ইসরায়েলে ফিরে ট্রাম্পের এ মন্তব্যের জবাব দেবেন।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এ দখলদারির স্বীকৃতি দেয়নি। এর পর থেকেই সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরব ও মুসলিম দেশগুলো ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পরিণতি বিপজ্জনক হতে পারে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, ট্রাম্প বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন।
আরও পড়ুনইসরায়েলের সঙ্গে পশ্চিম তীরকে যুক্ত করার পরিকল্পনায় আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করছেন। ইসরায়েল অঞ্চলটির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে এ অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে মনে করে। ইসরায়েল অবশ্য এ মনোভাবের বিরোধিতা করে আসছে।
আরও পড়ুনপশ্চিম তীরে তিন হাজার জলপাইগাছ উপড়ে ফেলল ইসরায়েলি সেনারা২৪ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনঅধিকৃত পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকা সংযুক্ত করতে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস২৪ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক ত করত য ক ত কর র র পর
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।