বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে…
Published: 26th, September 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাবার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের উদয় নাতুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় কুমার বিশ্বাসের (৩২) বাবা শম্ভু চরণ বিশ্বাস (৭২) দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাড়ির একটি পোষা ছাগল স্থানীয় বাঁশগ্রাম বাজারে বিক্রি করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় তার বাবার কাছে ছাগল বিক্রির টাকার অর্ধেক দাবি করেন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শম্ভু চরণ উত্তেজিত হয়ে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শম্ভু চরণ মারা যান। রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির পেছনের গাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বিজয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বিজয় আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেছেন, ছাগল বিক্রির টাকা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। একপর্যায়ে বাবা স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তার ছেলে আত্মহত্যা করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।