সিদ্ধিরগঞ্জের ৮টি পূজা মন্ডপে তারেক রহমানের পক্ষে অনুদান ও উপহার
Published: 26th, September 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮টি পুজা মন্ডপে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকালে আর্থিক অনুদান ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মন্ডপের দায়িত্বে থাকা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের হাতে এসব তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ২৪ এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের চেতনায় বিশ্বাস করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করবে। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে রেইন-বো নেশন হিসেবে গড়ে তুলা হবে।
অর্থাৎ সেটি হবে সকল জাতি, সকল ধর্ম, সকল বণর্, পাহাড়ি, সমতল এবং সকল মত- পথের মানুষ মিলে একটি অসম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষই বাংলাদেশী হিসেবে পরিচিত হবে।
এখানে সব ধর্মের সমান অধিকার থাকবে, সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে। যে ধর্মে বিশ্বাস করে সে-ও যে অধিকার রাখবে, যে ধর্মে বিশ্বাস করে না সে-ও এক-ই অধিকার নিয়ে এদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করবে। এরকম একটি অসম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চায় বিএনপি।
পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ এসময়ে জনাব তারেক রহমান এবং বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ রিয়াজুল ইসলাম , নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাস, সিদ্ধিগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র বর্মন , গোদনাইল হাজারীবাগ দুর্গা মন্দিরের সভাপতি পবিত্র চন্দ্র বর্মন এবং ২নং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক মাদব চন্দ্র দাস। এসময়ে জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শেফালী রাণী দাসসহ পূজা মন্ডপগুলোর নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব স কর ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।