ফতুল্লার ১০ পূজা মণ্ডপে রিয়াদ চৌধুরীর উপহার প্রদান, নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ
Published: 26th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কয়েকটি পূজা মন্ডপে আর্থিক উপহার প্রদান করা করেছেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী এলাকায় এই উপহার প্রদান করা হয়। একই সাথে এসব মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ফতুল্লার লালপুর শ্যামা কালী মন্দির, দাপা পোস্ট অফিস কালী মন্দির, মেঘনা ঘাট কালী মন্দির, পঞ্চবটী শীষমহল শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ বিগ্রহ মন্দির সহ ১০ টি মন্দিরে আর্থিক উপহার প্রদান করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ফতুল্লায় উৎসবমুখোর পরিবেশে বৃহৎ এ উৎসব উদযাপনে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা দরকার তাই করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লালপুর পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক অর্জুন দাস, কোষাধক্ষ্য সুমন ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দত্ত, মন্দির সেবায়েত নন্দলাল বসাক, ফতুল্লা মেঘনা ঘাট মন্দিরের সাধারন সম্পাদক অভি দাস, দাপা পোস্ট অফিস পূজা মন্ডপের সভাপতি পবিত্র রঞ্জন দাস, সাধারন সম্পাদক সবুজ দাস, কার্যকরী সদস্য প্রদীপ মন্ডল, সানী দাস, পঞ্চবটী শিষ মহল শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সহ- সভাপতি নিখিল চন্দ্র দাস, সাধারন সম্পাদক রাম প্রসাদ ঘোষ, সহ-সাধারন সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পীযুস চন্দ্র দাস, সহ-প্রচার সম্পাদক শিবু চন্দ্র দাস, প্রদীপ সাহা, বিপু চন্দ্র দাস, পরিমল দাস প্রমূখ।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, থানা কৃষক দলের আহবায়ক জুয়েল আরমান, থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।