ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে অরক্ষিত অবস্থায় ছাপা হয়েছে—ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এমন অভিযোগ করে আসছিলেন প্রার্থীদের কেউ কেউ।

এর জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, যেভাবে ব্যালট ছাপানো হয়েছে, তা নীলক্ষেতের কোনো দোকানে সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বক্তব্যের পরও বিতর্ক থামছে না। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী আলোচনা চলছে।

এমন এক পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী, তাঁদের অনেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে নীলক্ষেতের একটি ছাপাখানায় বিপুলসংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়াসহ ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেন ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা। তাঁরা বলেন, নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের যে ছাপাখানায় ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছিল, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি ছিল না।

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনে ১২ অনিয়মের অভিযোগ প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের জালাল প্রিন্টিং প্রেসে ডাকসু নির্বাচনের ৯৬ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছে। একই মার্কেটের মক্কা পেপার কাটিং হাউস নামের আরেকটি দোকানে নির্ধারিত মাপে কাটা হয়েছে ৮৮ হাজার ব্যালট। প্রতিবেদনে ৮ হাজার ব্যালটের হিসাবের গরমিলের কথা উল্লেখ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে জালাল প্রিন্টিং প্রেসের মালিক মো.

জালালের ভিডিও সাক্ষাৎকার যুক্ত করা হয়। সেখানে জালালকে বলতে শোনা যায়, ফেরদৌস ওয়াহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ব্যালট ছাপানোর কাজ পান। ৯৬ হাজারের মতো ব্যালট ছেপেছেন। তিন দিনে এই কাজ শেষ করেছেন।

যথাযথ প্রশ্ন থাকলে প্রশাসনের উচিত সেগুলো অ্যাড্রেস করা। কিন্তু টু দ্য পয়েন্ট প্রশ্ন না করে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের মতামতকে সম্মান না করার প্রবণতাটাকে আমরা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখব। —এস এম ফরহাদ, জিএস, ডাকসু

প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গাউসুল আজম মার্কেটের জালাল প্রিন্টিং প্রেসে যান। তখন প্রেস বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সন্ধ্যায় আবার জালাল প্রিন্টিং প্রেসে গেলে এর স্বত্বাধিকারী মো. জালালকে পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন, ‘এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জিজ্ঞেস করেন, আমাকে না।’

৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের ২৩টিতে জিতেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। প্রচারের শুরু থেকে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। অবশ্য ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন প্রার্থী কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। ডাকসুর নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় ছাপানোর বিষয়টি সামনে এসেছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি প্রশাসন অস্বীকার করছে। কিন্তু আমরা এখন শুনছি সেখানে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে এসব বিষয়ে দ্রুত জবাব আশা করি।’

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচন নিয়ে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুললেন আবিদ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫সন্দেহের অবসান ঘটানো উচিত

ডাকসু নির্বাচনের দুই দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর ৯ জন পোলিং এজেন্ট প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই পূরণ করা ব্যালট পেপার ও জাল ভোটারের উপস্থিতি, পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধাদানসহ কিছু অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি (হাতে) আবার গণনা করতে ১৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা।

ব্যালট পেপার ছাপানো ও গণনার মতো স্পর্শকাতর প্রক্রিয়াটির ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠলে সার্বিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পেশাদারত্বের ব্যাপারে সন্দেহ তৈরির সুযোগ থাকে বলে মনে করেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সন্দেহগুলোর অবসান ঘটানো উচিত।

অন্যদিকে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান মনে করেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে, সে ক্ষেত্রে তা ইতিহাসে বাজে উদাহরণ তৈরি করবে। গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে যেসব ব্যালট ছাপানো হয়েছে, সেগুলো যে নির্দিষ্ট প্যানেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, তার প্রমাণ কী, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

নীলক্ষেতে অরক্ষিতভাবে ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে আরাফাতের পর সরব হন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী খায়রুল আহসান (মারজান)।ব্যালট বিতর্কের শুরু যেভাবে

নীলক্ষেতের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে এবং এই ব্যালটে কোনো সিরিয়াল নম্বর ছিল না—১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রথম এই অভিযোগ সামনে আনেন ডাকসুতে জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আরাফাত চৌধুরী। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। জিএস পদে তিনি ৪ হাজার ৪৪ ভোট পেয়েছিলেন।

নীলক্ষেতে অরক্ষিতভাবে ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে আরাফাতের পর সরব হন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী খায়রুল আহসান (মারজান)।

তদন্ত চলছে, জবাব দেওয়া হবে

অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট ছাপানো নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বিতর্ক শুরু হলে ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘যে ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়, তা নীলক্ষেতের কোনো দোকানে সম্ভব নয়। সুতরাং যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ করা হয়েছে, তাতে এটি অরক্ষিত থাকার সুযোগ নেই। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে-পরে বা গণনার সময়ও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকসহ কেউই এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ব্যালট পেপারের মুদ্রণ নিয়ে অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে না।’

নির্বাচনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কোনো ত্রুটি ছিল কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্নগুলো আসা উচিত। ভোট গ্রহণ ও গণনার সময় প্রত্যেক প্যানেলের প্রার্থীর এজেন্ট, সাংবাদিক, শিক্ষক সবাই ছিলেন।ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ

কিন্তু ব্যালট নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেছেন, ব্যালট পেপারসংক্রান্ত অভিযোগটি নির্বাচন কমিশন অতীব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছে। শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর দেওয়া হবে।

ব্যালট বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ডাকসুর নির্বাচিত নেতারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে তাঁরা কাজও শুরু করেছেন।

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কোনো ত্রুটি ছিল কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্নগুলো আসা উচিত। ভোট গ্রহণ ও গণনার সময় প্রত্যেক প্যানেলের প্রার্থীর এজেন্ট, সাংবাদিক, শিক্ষক সবাই ছিলেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া সাদা দলের (বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন) শিক্ষকেরা ছিলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন শিক্ষক নেটওয়ার্কের শিক্ষকেরাও। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে তাঁরা সেটা বলতে পারেন। যথাযথ প্রশ্ন থাকলে প্রশাসনের উচিত সেগুলো অ্যাড্রেস (জবাব দেওয়া) করা। কিন্তু টু দ্য পয়েন্ট (সুনির্দিষ্টভাবে) প্রশ্ন না করে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের মতামতকে সম্মান না করার প্রবণাতাটাকে আমরা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অরক ষ ত অবস থ য় ছ প ন র ব ষয়ট স প ট ম বর ন লক ষ ত র ভ ট গ রহণ প রথম আল প রক র য় সন দ হ র জ এস জ এস প ব তর ক গণন র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ