বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কাউকে দাবি আদায়ের জন্য কর্মস্থল ছেড়ে রাস্তায় এক মিনিটের জন্য দাঁড়াতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইনসাফের ভিত্তিতে যাঁর যেটা পাওনা, সেটা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

আজ শনিবার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) আয়োজিত বার্ষিক অধিবেশন ২০২৫–এ প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান।

নিজেদের তিনটি মৌলিক প্রতিজ্ঞার কথা জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা এই ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা রাখব না। যে শিক্ষা মানুষের মধ্যে অনৈতিকতার সৃষ্টি করে, মানুষকে দুর্নীতিবাজ বানায়, মানুষকে একটা ইতর প্রাণী বানায়, আমরা ওই শিক্ষা দেব না। যে শিক্ষাটা মানুষকে সম্মান করতে শেখায়, সেই শিক্ষাটাই আমরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দেব।’

বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার মহামিলন হবে বলে জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেছেন, ‘ছেলে অথবা মেয়ে শিক্ষার পাট চুকিয়ে বের হওয়ার পরে তার যোগ্যতা অনুযায়ী সে কাজ পেয়ে যাবে। হয়, সে উদ্যোক্তা হবে, না হয়, সার্ভিসের যে কোনো কাজ পেয়ে যাবে। সে বেকার থাকবে না।’

দ্বিতীয়ত ক্ষমতায় গেলে জামায়াত ঘুষ, দুর্নীতি নির্মূল করবে বলে জানান শফিকুর রহমান।

জামায়াত প্রতিটি সেক্টরের কাজের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করবে বলেও জানান আমির শফিকুর রহমান। পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘তাকে যদি ফকিরের ভিক্ষা বেতন দেওয়া হয়, সে ঝুঁকি নিতে যাবে কেন? তাকে তো সম্মানিত করতে হবে। এটা করা হয় না বলে এ সমাজে আজকে কোনো শান্তি নাই।’

ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুছ ছাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সাইফুল আলম মিলন, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অব ড প ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ