মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় মালিক রেনু বেগমকে (৬০) খুন করা হয়েছে। আদালতে এমন জবানবন্দি দিয়েছেন ভাড়াটে ও আসামি কাজী মাহমুদ রাসেল ওরফে সবুজ (৩৫)।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মাহমুদ।

আরও পড়ুনমাদারীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবচর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম খান গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চর কাঁচিকাটা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে রেনু বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী। প্রায় এক বছর ধরে তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলেমেয়েরা চাকরি ও বিয়ের সূত্রে বাইরে থাকেন। ঘটনার পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর রেনু বেগমের ছেলে খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সাড়ে আট হাজার টাকা চুরি হওয়ার বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন রেনু বেগম। কারণ, চুরির অপবাদ দিয়ে মাহমুদকে বাসা থেকে সপরিবারে বের করে দেওয়া হয়। স্ত্রী ও সন্তানের সামনে চুরির অপবাদ দেওয়ায় অপমানিত বোধ করেন মাহমুদ। তখন তিনি ওই বৃদ্ধাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করেন। ঘরে থাকা মালামাল লুট করে বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

আবুল কাশেম খান আরও বলেন, বৃদ্ধার বাড়ির চারপাশে কোনো ঘরবাড়ি নেই। ওই বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন মাহমুদ। বৃদ্ধাকে হত্যার পর তাঁর আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছিলেন। পরে র‍্যাবের সহায়তায় তাঁকে ধরা হয়। এ ছাড়া রেনু বেগমের বাসা থেকে চুরি হওয়া রাইস কুকার, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র র অপব দ দ স প ট ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ