ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অধ্যাপক পদে ১২ বছর ও সহযোগী অধ্যাপক পদে প্রয়োজন হবে ৭ বছরে অভিজ্ঞতা।

পদের নাম ও বিবরণ

১। অধ্যাপক

পদসংখ্যা: ০১

বিভাগ: অর্থনীতি

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: প্রার্থীদের অর্থনীতি বিষয়ে খ্যাতনাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ১২ বছরের শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা এবং ডিওআই যুক্ত অন্তত ১২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে। বেনামি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রহণযোগ্য হবে না।

বেতন ও ভাতা: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা।

আরও পড়ুনএ সপ্তাহে (১৯ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর) দেখে নিন সেরা ১০ সরকারি চাকরি২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২। সহযোগী অধ্যাপক

পদসংখ্যা: ০১

বিভাগ: মনোবিজ্ঞান

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: মনোবিজ্ঞান বিষয়ে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত সাত বছরের শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা অথবা কোনো স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা/বিজ্ঞানী কর্মকর্তা বা সমমানের পদে অন্তত ১৪ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া ইনডেক্সড/গুণগত মানসম্পন্ন জার্নালে ডিওআই (DOI) যুক্ত অন্তত সাতটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে। বেনামি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রহণযোগ্য হবে না।

বেতন ও ভাতা: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা।

আরও পড়ুননভোথিয়েটারে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ৭ পদে নেবে ১৬ জন১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবেদনের নিয়ম

ভয় পদের জন্য আবেদন করতে নির্ধারিত ফরমে ১১ কপি আবেদনপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি এবং পে–অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর জমা দিতে হবে। বর্তমানে কর্মরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদন ফি

১,০০০ টাকা

আবেদনের শেষ সময়

২৬ অক্টোবর ২০২৫

বিস্তারিত তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, বেতন ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর প রবন ধ প রক শ সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা

টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।

স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।

ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণ

রিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।

মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগ

বর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।

বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।

আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
  • আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি
  • এআইইউবিতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে দিনব্যাপী সম্মেলন