উডকাট, এমব্রয়ডারির অক্ষরে বইগুলোতে উঠে এসেছে মানুষের কথা
Published: 27th, September 2025 GMT
বই হারিয়ে যাচ্ছে। মুঠোফোন থেকে শুরু করে বিলাসী পণ্য—এমন অনেক কিছুর কাছে পরাজিত হচ্ছে বই। তাই অন্য রকম করে বইকে তুলে ধরতে চেয়েছেন শিল্পীরা। সেখানে এমব্রয়ডারি মাধ্যমে বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে নারীর জীবনের যন্ত্রণা, হাতে লেখা বইয়ে সুফি দর্শনের কথা, প্রিন্ট মাধ্যমের বইয়ে সীমান্তের মানুষের কষ্টের কথা।
এমন ২৮টি শিল্পকর্ম নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোডে বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের গ্যালারিতে শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় পুস্তকালয় প্রদর্শনী।
বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের প্রধান শিল্পী মাহবুবুর রহমান জানান, ২০২২ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছিল। সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল এমন কিছু বই। এখানে ২৩ জন শিল্পীর ২৮টি বই রয়েছে।
প্রদর্শনীর কিউরেটর মাহমুদা সিদ্দিকা জানান, শিল্পীদের হাতে বানানো এই বইগুলোর কিছু অংশ ভারতের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে এর আগে। বাংলাদেশে এটাই প্রথম প্রদর্শনী।
এ আয়োজনের আরেকজন কিউরেটর শিল্পী মোকাদেসুর রহমান জানান, মূলত শিল্পমাধ্যম হিসেবে বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে এ আয়োজন।
এমব্রয়ডারি করে বইয়ে লেখা হয়েছে নারীর জীবনের ত্যাগ ও যন্ত্রণার কথা। এ বইয়ের নাম ‘দ্যাট লাইফ ইজ প্রমেগ্র্যান্ট’। প্রিন্টে ছাপা হয়েছে ‘নো বর্ডার’ নামের বইটি, যেখানে স্থান পেয়েছে সীমান্তের মানুষের জীবনে করুণ গল্প। ‘দর্শন ও দ্রষ্টব্য’ বইটির মাধ্যম ফটোগ্রাফি ও লেখা। এ বইয়ের বিষয় মানুষের দেখা থেকে দর্শনে উত্তরণের যাত্রা। সুফিজম নিয়ে করা বইটি কলোগ্রাফ প্রিন্টের কাজ।
শিল্পীরা বলেন, বইয়ের একটা নিজস্ব গন্ধ আছে। কিন্তু মানুষ বই থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ায় এখন আর সেই ঘ্রাণটা পায় না। মানুষের হাতে বই দেখা যায় না। কিন্তু বই আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই বইয়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই শিল্পীরা নানাভাবে তৈরি করেছেন বই। উডকাট, ইন্টাগ্লু প্রসেস, এমব্রয়ডারি, পেপারকাটিংসহ প্রিন্ট মেকিংয়ের অনেক কৌশল স্থান পেয়েছে পুস্তকালয় প্রদর্শনীর বই শিল্পকর্মগুলোতে।
এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমব রয়ড র র জ বন বইয় র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী
কেন হয়
শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ● ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।
● পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।
● সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
● দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া।
● অ্যানাফাইলেকসিস শক।
আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয়● শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়।
● চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।
চিকিৎসা● ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া।
● অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।
● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫