কর্মজীবী নারীদের জীবনে চ্যালেঞ্জ কম নয়। একদিকে কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি, অন্যদিকে ঘরোয়া দায়িত্ব, এবং সবকিছু সামলানোর মধ্যে নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা রক্ষা করা। তবে কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করে নারীরা এই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেন। জীবনকে আরও অর্থবহ ও আনন্দময় করে তুলতে কর্মজীবী নারীরা দশ সত্যি অনুসরণ করুন।

১.

নিজের প্রয়োজন ও মূল্য নির্ধারণ করুন

প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ করুন এবং ভাবুন—আজ কোন কাজগুলো মানসিক শান্তি ও জীবনের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আমি কী চাই? আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কী?” নিজের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করলে মানসিক চাপ কমে এবং জীবন আরও সংগঠিত হয়।

২. পারিবারিক দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করুন

পরিবারের দায়িত্ব একা নিলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। পরিবারের সদস্যরা মিলে দায়িত্ব ভাগাভাগি করুন—যেমন রান্না, বাজার, সন্তানদের পড়াশোনা ও ঘরের অন্যান্য কাজ। খোলাখুলি আলোচনা করে দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করলে পরিবারের সব সদস্য সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে এবং কাজের চাপ কমবে।

৩. কর্মস্থলে নিজের দাবি উত্থাপন করুন

নিজের অবদান ও দায়িত্ব স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা মূল্যায়ন সভায় প্রকল্পের সাফল্য, নতুন উদ্যোগ বা নিজের অতিরিক্ত দায়িত্বের উল্লেখ করুন। স্পষ্টভাবে কথা বললে ন্যায্য সুযোগ ও মূল্যায়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নেবে ১৯ কর্মকর্তা–কর্মচারী, আবেদন সরাসরি বা ডাকযোগে০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৪. ‘না’ বলার কৌশল শিখুন

অতিরিক্ত চাপ এড়াতে ‘না’ বলা শিখুন। সরাসরি কিন্তু শালীনভাবে বলুন—‘আমি এখন এটি করতে পারছি না, তবে অন্য সময় সাহায্য করতে পারি।’ প্রয়োজন হলে বিকল্প সময় বা সমাধান প্রস্তাব করুন। ‘না’ বলার সংক্ষিপ্ত কারণ বলুন, বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই। এতে নিজের সময় ও শক্তির সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয়।

৫. নিজের জন্য সময় তৈরি করুন

নিজের জন্য নিয়মিত সময় বের করুন। দৈনন্দিন জীবনের ছোট বিরতি নিন—পড়াশোনা, হাঁটা, গান শোনা বা মেডিটেশন। নিজের জন্য সময় রাখা মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতার জন্য অপরিহার্য।

দৈনন্দিন জীবনের ছোট বিরতি নিন-পড়াশোনা, হাঁটা, গান শোনা বা মেডিটেশন। নিজের জন্য সময় রাখা মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতার জন্য অপরিহার্য

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন জ র জন য য সময়

এছাড়াও পড়ুন:

৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া ২টি বুলডোজার আটকে দিল সেনাবাহিনী

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া দুটি বুলডোজার আটকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

সূত্র জানায়, দুটি বুলডোজার ট্রাকে করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুলডোজারের ওপরে কিছু তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিচ্ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৩২ নম্বরে প্রবেশের রাস্তায় বুলডোজার দুটি আটকে দেন। ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু‌দ্ধে রায় ঘোষণা চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়িটিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বুলডোজার এনে বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ