মানিকগঞ্জে কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
Published: 28th, September 2025 GMT
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় একটি কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
দুষ্কৃতকারীরা উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মন্দিরে প্রবেশ করে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুটি মূর্তির হাত ও মাথা ভেঙে ফেলে। বিষয়টি নজরে আসে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে।
শিবালয় থানার পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ভবানীপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামে কালীমন্দিরের দুটি প্রতিমার মাথা ও হাত ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এরপর তারা বিষয়টি মন্দির পরিচালনা কমিটিকে জানান।
মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “খবর পেয়ে মন্দিরে গিয়ে দেখি, দুটি প্রতিমার হাত ও মাথা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। মন্দিরটি নির্জন স্থানে থাকায় অরক্ষিত ছিল। সেই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বসবাস করি, কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। তবে দুর্গাপূজার আগে এমন ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’’
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোছা.
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।