পশ্চিমা বিশ্বকে কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
Published: 28th, September 2025 GMT
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
লাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার আকাশসীমায় উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার কোনো চেষ্টা হলে তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, জার্মানি যুদ্ধের ভঙ্গিমায় কথাবার্তা বলছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এস্তোনিয়া বলেছে, মস্কো তাদের আকাশসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ন্যাটোর যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
লাভরভ বলেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর। বিশেষ করে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যাঁরা তাঁদের ভোটারদের বলছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য, তাঁরা নিঃসন্দেহে এটা জেনে রাখুন।’
নিজেদের আকাশসীমায় মাঝেমধ্যে রাশিয়ার ড্রোন বা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতির ঘটনায় দেশটিকে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। দেশগুলোতে রাশিয়াকে শীতল যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা হয়। এ দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার আশাও এখন কমে গেছে।
সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে লাভরভ বলেন, রাশিয়া কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ন্যাটো দেশগুলোতে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি এবং ভবিষ্যতেও এমনটা করার কোনো পরিকল্পনা নেই।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে বলেছেন, ন্যাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী রাশিয়ার বিমানগুলো ভূপাতিত করাকে তিনি সমর্থন করেন। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে উপহাস করে এটিকে ‘কাগজের বাঘ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি আমাদের আকাশসীমায় কোনো উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হয়, তা যেকোনো বস্তুই হোক, সেটি হবে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার বড় লঙ্ঘন। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের চেষ্টা চালাবে, তারা খুবই পস্তাবে।’
আরও পড়ুনইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল, পাল্টা জবাব মস্কোর২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে লাভরভ বলেন, রাশিয়া কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ন্যাটো দেশগুলোতে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি এবং ভবিষ্যতেও এমনটা করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
লাভরভ আরও বলেন, শুধু ‘রাজনৈতিকভাবে অন্ধ’ মানুষই আশা করতে পারেন যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলা করার আগে ইউক্রেনের যে সীমানা ছিল, তা তারা ফিরে পাবে।
যদি আমাদের আকাশসীমায় কোনো উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হয়, তা যেকোনো বস্তুই হোক, সেটি হবে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার বড় লঙ্ঘন। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের চেষ্টা চালাবে, তারা খুবই পস্তাবে।সের্গেই লাভরভ, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, কিয়েভ রাশিয়ার দখল করে নেওয়া সব এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পারে। পরোক্ষভাবে এ বক্তব্যেরই জবাব দিয়েছেন লাভরভ।
লাভরভ বিশেষভাবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্সের কথা উল্লেখ করে তাঁর সমালোচনা করেন। তাঁর কথাবার্তাকে ‘যুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর কিছু রাজনীতিকে বক্তব্যে মস্কো উদ্বিগ্ন। ওই সব রাজনৈতিক নেতারা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন বলে নিজেদের ধারণার কথা বলছেন।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিলেও লাভরভ স্পষ্ট করে বলেছেন যে মস্কো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ‘খোলামেলা আলোচনার’ ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সম্প্রতি তাঁর অবস্থান বদলাতে দেখা গেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে তৃতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দুই দেশের দূতাবাসের কার্যক্রম উন্নত করা এ আলোচনার লক্ষ্য। গত এক দশকে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে কার্যক্রমগুলো ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, লাভরভ গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন২,৫০০ কোটি ডলারের পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তি করল ইরান ও রাশিয়া২১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র ভ প ত ত কর ই ল ভরভ ইউক র ন ল ভরভ ব আম দ র বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ
আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।
সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।
৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’
কারা আছে তালিকায়দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।
দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।
১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।
২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।
কীভাবে এই মূল্যায়ন৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।
ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।
এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;
কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;
কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;
সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;
কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।