মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাস কি তাহলে নতুন করে লিখতে হবে
Published: 28th, September 2025 GMT
আধুনিক মানুষের প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্সদের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন এক দাবি করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অন্তত পাঁচ লাখ বছর বেশি সময় আগে থেকেই পৃথিবীতে হোমো সেপিয়েন্সদের অস্তিত্ব ছিল। চীনে পাওয়া ১০ লাখ বছরের পুরোনো একটি মাথার খুলি বিশ্লেষণ করার পর এমন দাবি করেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলছেন, এই বিশ্লেষণ মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। আর তা যদি ঠিক হয়, তবে মানবপ্রজাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়কেই নতুন করে লিখতে হবে।
তবে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, নতুন গবেষণার ফলাফল সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘সায়েন্স’–এর গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরাসহ আরও বেশ কয়েকজন গবেষক এ দলে ছিলেন। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিজুন নি যৌথভাবে এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গবেষণার শুরুর দিকে পাওয়া ফলাফল দেখে গবেষকেরা নিজেরাও হতবাক হয়েছিলেন। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিজুন নি বলেন, ‘গবেষণায় এ ধরনের ফলাফল পাওয়ার পর শুরুতেই আমাদের কাছে এটিকে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। ভাবছিলাম, কীভাবে এটা এতটা আগের ঘটনা হতে পারে? আমরা সব মডেল আর পদ্ধতি ব্যবহার করে এটির ওপর বারবার পরীক্ষা চালিয়েছি। এখন আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত। আর আমরা সত্যিই খুব উচ্ছ্বসিত।’
পুরোনো ওই খুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনসিয়ান ২’। খুলিটি আবিষ্কারের পর শুরুতে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, এটি প্রাচীনকালের হোমো ইরেকটাস প্রজাতির কোনো মানুষের খুলি হয়তো। হোমো ইরেকটাস হলো প্রথম লম্বা মস্তিষ্কের মানুষ প্রজাতি। হোমো ইরেকটাস প্রজাতি প্রায় ছয় লাখ বছর আগে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে আলাদা দুটি প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সে দুটি প্রজাতি হলো নিয়ান্ডারথাল ও আধুনিক মানুষের প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্স।
তবে মাথার খুলিটি নিয়ে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি হোমো লংগির একটি আদিম রূপ। হোমো লংগি হলো নিয়ান্ডারথাল আর হোমো সেপিয়েন্সের সমপর্যায়ের একটি ঘনিষ্ঠ প্রজাতি।
পুরোনো ওই খুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনসিয়ান ২’। খুলিটি আবিষ্কারের পর শুরুতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, এটি প্রাচীনকালের হোমো ইরেকটাস প্রজাতির কোনো মানুষের খুলি। হোমো ইরেকটাস হলো প্রথম লম্বা মস্তিষ্কের মানুষ প্রজাতি।আরও পড়ুনগুহায় আবিষ্কৃত হলো অর্ধলক্ষ বছরের পুরোনো চিত্রকর্ম০৪ জুলাই ২০২৪গবেষণার সহপ্রধান এবং ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের অধ্যাপক ক্রিস স্ট্রিংগার বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও ১০ লাখ বছর বয়সী হোমো সেপিয়েন্সের জীবাশ্ম থাকতে পারে, আমরা এখনো এমনটা খুঁজে পাইনি।’
আদিম মানুষের প্রজাতি চিহ্নিত করা এবং তারা কখন পৃথিবীর বুকে পা রেখেছিল, তা বোঝার দুটি উপায় আছে। তা হলো মস্তিষ্কের আকার দেখা এবং জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করা। ইউনসিয়ান ২-এর ক্ষেত্রে দুই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়েছে। আর দুই পরীক্ষাতেই একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ আয়লয়েইন স্ক্যালি বলেন, দুটি পদ্ধতিতেই যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। তাঁর মতে, সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, এটি নির্ণয় করা খুবই কঠিন—চাই সেটা জিনগত প্রমাণ বা জীবাশ্ম প্রমাণ।
আদিম মানুষের প্রজাতি চিহ্নিত করা এবং তারা কখন পৃথিবীর বুকে পা রেখেছিল, তা বোঝার দুটি উপায় আছে। তা হলো মস্তিষ্কের আকার দেখা এবং জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করা। ইউনসিয়ান ২-এর ক্ষেত্রে দুই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়েছে। আর দুই পরীক্ষাতেই একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে।স্ক্যালি আরও বলেন, ‘বিপুল পরিমাণে জিনগত তথ্য থাকলেও এই জনগোষ্ঠী কখন একসঙ্গে বসবাস করেছিল, তা এক লাখ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করাও খুব কঠিন।
এর আগে প্রাথমিক হোমো সেপিয়েন্সের অস্তিত্বের সর্বপ্রাচীন প্রমাণটি পাওয়া গিয়েছিল আফ্রিকায়, যা প্রায় তিন লাখ বছরের পুরোনো। আর তাই নতুন গবেষণা অনুযায়ী ধারণা করা যায়, প্রথম এশিয়াতেই হোমো সেপিয়েন্সরা বিচরণ করেছিল।
কিন্তু অধ্যাপক স্ট্রিংগার মনে করেন, এ পর্যায়ে এটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, আফ্রিকা ও ইউরোপেও প্রায় ১০ লাখ বছরের পুরোনো মানুষের জীবাশ্ম আছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেগুলোকে বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চীনের হুবেই প্রদেশে মাটির নিচে ১০ লাখ বছরের পুরোনো খুলিটির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই সময় একসঙ্গে আরও দুটি খুলি পাওয়া গিয়েছিল। তবে সেগুলো ভাঙা ছিল। ইউনসিয়ান ২-কে আগে হোমো ইরেকটাস হিসেবে ভুলভাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এটিকে একটি কারণ বলে মনে করা হয়।
মূল আকার ফিরিয়ে আনার জন্য অধ্যাপক সিজুনের দল খুলিগুলোকে স্ক্যান করেছিল। কম্পিউটার মডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলির বিকৃতিগুলো সারানো হয়। খুলিগুলোকে তাদের আসল রূপে দেখার পর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, এগুলো আলাদা রকমের এবং আরও উন্নত ধরনের মানব প্রজাতি।
আরও পড়ুনবিদ্যুৎ, ডিএনএ, টিকাসহ যে ১০ বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বদলে দিয়েছিল বিশ্বকে১১ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ বছর র প র ন ব যবহ র কর ১০ ল খ বছর র ফল ফল ধরন র জ নগত
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ
আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।
সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।
৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’
কারা আছে তালিকায়দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।
দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।
১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।
২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।
কীভাবে এই মূল্যায়ন৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।
ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।
এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;
কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;
কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;
সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;
কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।