অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে সহযোগিতা এবং সক্রিয় অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ফলে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা এগিয়ে নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’

দেশ গঠনে সবার ভূমিকা থাকবে জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘দূরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখব, এমনটা হবে না। গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ। আমরা এখন নিজে খেলব।’

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি বিশ্বনেতাদের পূর্ণ সমর্থন১৭ ঘণ্টা আগে

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সফররত প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘উনারা এ সফরে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন বলে আমাদের আস্থা অনেক বেড়ে গেল।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন একটি প্রেজেন্টেশন দেন। এতে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

আরও পড়ুননির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে ‘যথেষ্ট শক্তিশালী’ ভাষণ দিয়েছেন: মির্জা ফখরুল২২ ঘণ্টা আগে

এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাঁদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এ আয়োজনে তুলে ধরেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ও জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।

আরও পড়ুনট্রাম্প দম্পতির সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল অধ্যাপক ইউনূস, পাশে মেয়ে২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ আয়োজনে ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। অ্যাপটি প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা ও বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনযুবশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনআগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে: প্রধান উপদেষ্টা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ প রব স র জন য ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ