চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গায় চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। 

প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া অন্তত ১০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত শর্তাবলী মানা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, অনেক শিক্ষক ছাত্র অবস্থাতেই প্রভাষক পদে যোগ দেন। কেউ কেউ বয়সসীমা অতিক্রম করেও নিয়োগ পান। আবার রেজিস্ট্রেশন সনদ পাওয়ার আগেই অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগে নাম এসেছে- ডা.

আব্দুল বাসেত, ডা. বিলকিছ আক্তার, ডা. ফরিদ আহম্মদ, ডা. নাজভীন সুলতানা, ডা. ফাতেমা আক্তার, ডা. মোহাম্মদ ইয়াছিনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষকের।

এ বিষয়ে কলেজের প্রভাষক ডা. মো. মনজুর হোসেন ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন উপজেলা আইসিটি অফিসার মো. শাহজাহানকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অভিযোগ ওঠা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারী ডা. মনজুর হোসেন বলেন, “কয়েক মাস হয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেওয়া হয়নি।”

তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, “তদন্ত চলছে, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহনাজ হোসেন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে শিগগিরই বিস্তারিত জানব।”

অভিযোগে আরো বলা হয়, অনেক শিক্ষক দীর্ঘদিন শ্রেণি পাঠদান না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছেন। বিষয়টি ২০২২ সালে কলেজ পরিচালনা কমিটির বৈঠকেও আলোচনায় আসে। পরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ২০২৩ সালের মার্চে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

তবে অভিযোগে যেসব শিক্ষকের নাম এসেছে, তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

ঢাকা/অমরেশ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত তদন ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ