৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য এনভয় টেক্সটাইল ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। ওই বছর কোম্পানির মুনাফা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটি এই লভ্যাংশ দিচ্ছে।

সেই সঙ্গে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ অক্টোবর। এজিএম মিশ্র পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে আজ রোববার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ দশশিক ৪০ টাকা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ৫৮ দশমিক ৩২ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ৪ দশমিক ৭৭ টাকা। ২০২৪ সালে যা ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৮ টাকা, ৫১ দশমিক ৯৩ টাকা ও ৩ দশমিক ৬৮ টাকা।

এর আগে ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে এনভয় টেক্সটাইলসের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫১ টাকা ৯৩ পয়সায়।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনভয় টেক্সটাইলসের অনুমোদিত মূলধন ৪৭৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭। এর ৬৫ দশমিক ১৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৯৫, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

নতুন কারখানা চালু

সম্প্রতি কোম্পানিটি যে বর্জ্য কাপড় পুনর্ব্যবহারকারী কারখানা স্থাপনের কথা জানিয়েছিল, সেই অত্যাধুনিক বর্জ্য কাপড় পুনর্ব্যবহার উপযোগীকরণ কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে সফলভাবে শুরু হয়েছে। ডিএসইএর ওয়েবসাইটে দেওয়া পৃথক এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটি যে টেকসই ও চক্রাকার উৎপাদনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি তার অন্যতম নিদর্শন। বিদ্যমান কারখানা প্রাঙ্গণে স্থাপিত এ কারখানায় দৈনিক ১২ মেট্রিক টন বর্জ্য কাপড় প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বসুন্ধরা পেপার ও মেঘনা সিমেন্টের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%