এএসপি নাজমুস সাকিবের গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন ভুক্তভোগী নারী
Published: 28th, September 2025 GMT
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনটি মামলা থাকলেও কিশোরগঞ্জের ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হননি। এমনকি, জামিন না নিয়েও তিনি পুলিশে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন জানিয়ে তাকে দ্রুত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নারী। তবে এএসপি নাজমুস সাকিব তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এএসপি নাজমুস সাকিবের বিচার দাবি করেন। ওই নারী ঢাকায় কর্মরত একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন:
শুটিংয়ের কথা বলে রিসোর্টে নিয়ে নাট্যকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
বরিশালে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ‘‘২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুকে পাত্রী চাওয়ার পোস্ট থেকে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।’’
ভুক্তভোগী নারী আরো বলেন, ‘‘নাজমুস সাকিব তখনো আমাকে জানাননি, তিনি বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। কিছু দিন পর আমি জানতে পারি, নাজমুস সাকিব একইসঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বিয়ের দাবি তুললে সাকিবের পরিবারের সদস্যরা আমার ওপর হামলা চালান।’’ এরপর তিনি আদালতে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের মামলাটি চলতি বছরের ২০ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে শাহবাগ থানায় এজাহার হিসেবে এটি গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
ওই নারী অভিযোগ করেন, ‘‘মামলাগুলোর তদন্তে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। পিবিআই দুই মামলায় ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দিলেও আমি সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছি।’’ এ সময় তিনি ওই দুটি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি নাজমুস সাকিব বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ভৈরবে থাকি, আর তিনি ঢাকায় থাকেন। কীভাবে তার সঙ্গে এমন সম্পর্ক হতে পারে? মামলার তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তদন্তে যা হওয়ার, হবে।’’
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘‘মামলাটি তদন্তাধীন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। পুরো বিষয়টি ক্লোজলি মনিটর করা হচ্ছে। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’’
যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/রুমন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ওই ন র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।