শুরু হলো ওয়ালটন কম্পিউটারের ডাবল ধামাকা অফার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতারা ওয়ালটন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ট্যাবলেট, প্রিন্টার ও স্পিকার কিনলেই পাচ্ছেন নিশ্চিত উপহার। সেইসঙ্গে অন্যান্য কম্পিউটার এক্সেসরিজে থাকছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। এছাড়া, বিশেষ উপহার হিসেবে রয়েছে প্রতি মাসেই একাধিক ব্র্যান্ড নিউ ওয়ালটন তাকিওন ইলেকট্রিক বাইক পাওয়ার সুযোগ।

ওয়ালটন প্লাজা, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং ডিলার আউটলেট থেকে কম্পিউটার পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ে অফারটি উপভোগ করা যাবে চলতি বছরের শেষদিন পর্যন্ত। শনিবার বিকেলে (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে আবারো বর্ষসেরা ওয়ালটন

টানা তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

ওয়ালটন ডিজি-টেক দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিপণ্যে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে ওয়ালটন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, বিশ্বমানের কারিগরি দক্ষতা, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকার ওয়ালটনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার পাশাপাশি প্রযুক্তিপণ্যে মান, উদ্ভাবন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ওয়ালটনের অব্যাহত প্রচেষ্টা তাদেরকে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি সম্প্রতি আমেরিকায় সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড বা পিসিবিএ রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন।

বর্তমানে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪৪ ধরনের আইটি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। যার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ইলেকট্রিক বাইক, ট্যাব, প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে, প্রিন্টার, টোনার, ইউপিএস, সিসিটিভি, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ওয়াই-ফাই রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, ওয়েবক্যাম, স্পিকার, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি, এক্সটার্নাল এসএসডি, র‌্যাম, কুলার, পাওয়ার সাপ্লাই, পিসিবিএ, মেমোরি কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ফিটনেস স্কেল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইউএসবি, টাইপ সি ও এইচডিএমআই ক্যাবল, কনভার্টার ইত্যাদি।

ডাবল ধামাকা অফার গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন রবি আজিয়াটার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেকের এমডি ও সিইও স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আদিল হোসেন নোবেল। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হানসহ ওয়ালটনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ। 

অনুষ্ঠানে আদিল হোসেন নোবেল বলেন, “বিশ্বের একটি সেরা ও নামকরা ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটনকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। ওয়ালটন বিশ্বের সেরা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো স্মার্ট পণ্য তৈরি করছে। বর্তমান প্রযুক্তিবিশ্বে বাংলাদেশে তৈরি উন্নত প্রযুক্তি ও পণ্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে। ওয়ালটন আরো এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে প্রযুক্তিপণ্যের দেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।”

ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, “এর আগে আমরা ক্রেতাদের জন্য এক্সক্লুসিভ অফার, এক্সচেঞ্জ অফারসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছি। আমাদের এসব উদ্যোগ সহজলভ্য মূল্যে আইটি পণ্য ও এক্সেসরিজ ক্রয়ে ক্রেতাদের কাছে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডাবল ধামাকা অফার দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো ওয়ালটনের একটি কম্পিউটার পণ্য কিংবা এক্সেসরিজ কিনে গ্রাহক নিশ্চিত উপহার কিংবা আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পাবেন। একইসঙ্গে ডাবল ধামাকা হিসেবে প্রতি মাসে থাকবে একাধিক ইলেকট্রিক বাইক জেতার সুযোগ। আইটি পণ্যে বাংলাদেশে এই প্রথম ক্রেতাদের এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, বরাবরের মতো এই অফার ক্রেতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলবে।”

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড বল ধ ম ক উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ