চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন হোসেন (৪০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন হোসেন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন মালিতার ছেলে। এর আগে, গত রাতে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরো পড়ুন:

চন্দনাইশে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

কারাগার সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৪ তারিখে দামুড়হুদা মডেল থানার একটি মারামারি মামলায় চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক মিলনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.

ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে ৷ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’’

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার মো. ফখরউদ্দিন বলেন, ‘‘গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে মিলন কারাগারে ছিলেন। রবিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া ২টি বুলডোজার আটকে দিল সেনাবাহিনী

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া দুটি বুলডোজার আটকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

সূত্র জানায়, দুটি বুলডোজার ট্রাকে করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুলডোজারের ওপরে কিছু তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিচ্ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৩২ নম্বরে প্রবেশের রাস্তায় বুলডোজার দুটি আটকে দেন। ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু‌দ্ধে রায় ঘোষণা চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়িটিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বুলডোজার এনে বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ