আট বছর পর ফিরলেন তিনবারের অস্কারজয়ী সেই অভিনেতা
Published: 29th, September 2025 GMT
আট বছরের বিরতির পর আবার অভিনয়ে ফিরলেন ড্যানিয়েল ডে-লুইস। সন্তান রোনান ডে-লুইস পরিচালিত ‘অ্যানিমোন’ ছবিতে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী এই ব্রিটিশ অভিনেতা; নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্প্রতি সিনেমাটির বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে মঞ্চে উঠে ডে-লুইস বলেন, ‘প্রতিবার কাজ শুরু করার সময় মনে হয় যেন শূন্য থেকে শুরু করছি। কখনো নিশ্চিত থাকি না, আসলে করতে পারব কি না। তবে শুটিং শুরুর আগের প্রস্তুতিটাই আসল, যদি সেটা সঠিকভাবে করা যায়, তাহলে ক্যামেরা, আলো কিংবা অন্য যন্ত্রপাতি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।’
ছেলে রোনানের সঙ্গে যৌথভাবে ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ডে-লুইস। রোনান বলেন, ‘একসঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়াটা বিরল ঘটনা। চিত্রনাট্য লেখার সময় থেকেই চরিত্রগুলো আমাদের সঙ্গে বড় হয়েছে। ফলে শুটিং ফ্লোরে গিয়ে নতুন করে চাপ অনুভব করতে হয়নি।’
প্রসঙ্গ অবসর
তিনবারের অস্কারজয়ী অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে-লুইস বলেছেন, তিনি কখনোই অবসরের ঘোষণা দিতে চাননি। রোলিং স্টোন সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমি আসলে অবসর নিতে চাইনি। শুধু কাজের ধরন পাল্টে অন্য কিছুতে মন দিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে, আমাকে অবসর নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ কখনোই কিছু থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। শুধু কিছুদিন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
বছর দুয়েক আগেও দেশে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত ও ‘দলছুট’ হিসেবে পরিচিত সাবেক কূটনীতিক শমসের মুবিন চৌধুরীর রাজনৈতিক অবসরের হঠাৎ ঘোষণা ছড়িয়ে পড়েছে রবিবার রাতে।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশ যখন টালমাটাল তার কয়েক মাস আগে নামকাওয়াস্তে দল ‘তৃণমূল বিএনপি’র নেতৃত্বে আসেন শমসের মুবিন, যার পদ ছিল চেয়ারপার্সন।
আরো পড়ুন:
‘আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’
একটি দল বেহেস্তের টিকিট দেখিয়ে ভোট চাচ্ছে: আমান উল্লাহ
এই দলের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপির নারায়ণগঞ্জের আরেকজন আলোচিত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে তৈমূর আলমের কাছে চিঠি দিয়ে রাজনীতিকে বিদায় বলে দিয়েছেন শমসের মুবিন।
শমসের মুবিন ও তৈমূর খন্দকারের নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’ ডামি দল হিসেবে আখ্যা পায়। তখন অনেকে বলেছিলেন, বিএনপি ভাঙার অপচেষ্টা হিসেবে দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম ও পদ ব্যবহার করে তৃণমূল বিএনপি তৈরি করা হয়েছে। একে অনেকে ‘কিংস পার্টি’ নামে অভিহিত করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনে ঘোষণার পরও তখন বেশ কয়েকটি দল রাতারাতি গজিয়ে ওঠে, যার একটি এই তৃণমূল বিএনপি। এসব দল অভিনব কায়দায় নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আসার চেষ্টা করেছিল।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে, বদলে গেছে রাজনীতির হাওয়া; নিষিদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। এখন আর তৃণমূল বিএনপি বলে কোনো দলের কার্যক্রম মাঠে দেখা যায় না; শোনা যায় না তাদের দলের নেতাদের নাম। গণমাধ্যমেও তাদের কোনো উপস্থিতি নেই।
এখন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। অথচ কোথাও শমসের মুবিন চৌধুরীর নাম উচ্চারিত হয় না। রাজনীতির আড়ালেই পড়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎ সরব হলেন; তবে রাজনৈতিক বিদায়ের ঘণ্টা ধ্বনি শোনাতেই যেন অচমকা গভীর রাতে গণমাধ্যমে হাজির হলেন তিনি।
তৈমূর খন্দকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শমসের মুবিন চৌধুরী অনেক দিন ধরেই দলে নিষ্ক্রিয়। তাদের দলও অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। তিনি (শমসের মুবিন) ফোন করে অবসরের কথা জানিয়েছেন এবং তার কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।
তৈমূর খন্দকার বরাবর চিঠিতে শমসের মুবিন লিখেছেন, “এই মর্মে আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে সকলকে অবগত করছি যে, শারীরিক কারণে আমি শমসের এম চৌধুরী রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির সকল পদ থেকে আমি পদত্যাগ করিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ইং থেকে কার্যকর হইল।”
“আমার উপরে উল্লেখিত সিদ্ধান্ত দলের সংশ্লিষ্ট এবং গণমাধ্যমে অবগত করার জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করিলাম”, লেখেন তিনি।
সাবেক কূটনীতিক শমসের মুবিন চৌধুরী একসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। পরে তিনি বিএনপি ছেড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামে দলেও যোগ দিয়েছিলেন।
বিকল্পধারা ছেড়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপি নামে দলটির চেয়ারপারসন হন শমসের মুবিন।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল