৪৭তম বিসিএসে প্রিলিমিনারির পর লিখিত: সফল হবেন কীভাবে
Published: 30th, September 2025 GMT
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার নাম বিসিএস। লাখো পরীক্ষার্থীর ভিড়ে প্রিলিমিনারি পর্যায় অতিক্রম করাই এক বড় সাফল্য। তবে প্রিলিমিনারির পরেই অপেক্ষা করে আসল চ্যালেঞ্জ—লিখিত পরীক্ষা। সময় থাকে খুব কম—মাত্র এক থেকে দেড় মাস। এই অল্প সময়ে কীভাবে পরিকল্পনা করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে, সেটিই আজকের আলোচনা।
প্রিলিমিনারি পেরোনো মানেই অর্ধেক যুদ্ধ জয়?
৪৫তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি দিয়েছিলেন ২ লাখ ৬৮ হাজার প্রার্থী, উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মাত্র ১২ হাজার ৭৮৯ জন। ৪৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণের সংখ্যা আরও কম—১০ হাজার ৬৪৪। এই সংখ্যাগুলোই বলে দিচ্ছে, প্রিলিমিনারি অতিক্রম করা সহজ নয়। তবে এখানেই থেমে গেলে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় অনেকেই টিকতে পারেন না। কারণ, এই পর্যায়ের জন্য আলাদা প্রস্তুতি দরকার।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কী বলে
যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল অফিসার নিয়োগে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর প্রার্থীরা লিখিত মূল্যায়নে অংশ নেন। সেখানে শুধু তথ্য জানা নয়, বিশ্লেষণী দক্ষতা ও লিখনক্ষমতার ওপর জোর দেওয়া হয়। ইউরোপে, বিশেষ করে ইইউ নিয়োগ পরীক্ষায়। প্রিলিমিনারি পেরোনো প্রার্থীরা অল্প সময়ের মধ্যে নিবিড় প্রস্তুতি শুরু করুন—মক টেস্ট, সময় ব্যবস্থাপনা ও লিখনচর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে।
এই অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, প্রিলিমিনারির পরের সময়টুকু কীভাবে কাজে লাগাবেন, তার ওপরই নির্ভর করছে লিখিত পরীক্ষার সাফল্য।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে: মহাপরিচালক নূর মো.শামসুজ্জামান২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সময়কে ভাগ করে নিন
প্রিলির ফল প্রকাশের পরই সময়কে ভাগ করে নিতে হবে।
প্রথম সপ্তাহ: সিলেবাসের রূপরেখা তৈরি করুন। আগের বছরের প্রশ্নপত্রগুলো বিশ্লেষণ করুন।
পরের তিন সপ্তাহ: প্রতিদিন নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর পড়াশোনা করুন। উত্তর লেখার অনুশীলন শুরু করুন।
শেষ দুই সপ্তাহ: পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট দিন। সময় বেঁধে উত্তর লিখুন, পরে খুঁটিয়ে মূল্যায়ন করুন।
প্রিলির ফল প্রকাশের পরই লিখিত পরীক্ষার জন্য সময়কে ভাগ করে নিতে হবে প্রার্থীদেরউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ ম ব স এস পর ক ষ র র র পর
এছাড়াও পড়ুন:
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন বিভাগ চালু করেছে। স্প্রিং ২০২৬ সেমিস্টার থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং—একটি ভবিষ্যৎমুখী প্রোগ্রাম, যা বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে ইনোভেশন, অটোমেশন এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে মূল কোর্সেও পাশাপাশি মেজর ও মাইনর কোর্সেও পাঠদান করা হবে।
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের রোবোটিকস, ইলেকট্রনিকস, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এমবেডেড কম্পিউটিং-এর সমন্বয়ে অত্যাধুনিক জ্ঞান এবং বাস্তব-জগতের দক্ষতা প্রদান করবে। রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ৪ বছরের একটি ১৫৪-ক্রেডিট কোর্স এবং পরবর্তী সেমিস্টার (স্প্রিং -২০২৬) থেকে এটি চালু হতে চলেছে। এটি একটি তিন সেমিস্টারের প্রোগ্রাম (স্প্রিং, সামার এবং ফল) ।
স্প্রিং সেমিস্টারের সময়কাল জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, সামার সেমিস্টারের সময়কাল মে থেকে আগস্ট এবং ফল সেমিস্টারের সময়কাল সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। এ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে মূল কোর্সের পাশাপাশি মেজর ও মাইনর কোর্সও পাঠদান করা হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে জেমিনি ব্যবহার: সিঙ্গাপুর–অস্ট্রেলিয়া–কানাডার শিক্ষার্থীদের মতো সুযোগ বাংলাদেশিদেরও১৩ নভেম্বর ২০২৫