ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আজ পালন করছেন শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অষ্টমীর সকালে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা শুরু করেছেন ভক্তরা।
অষ্টমী তিথির এ পূজায় দেবীর ৯টি শক্তিকে উৎসর্গ করে নয়টি পাত্রে বিভিন্ন রঙের পতাকা স্থাপন করা হয়। পূজা শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন:
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি: হাসানাত
কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব হলো- নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সাধিত হচ্ছে, সেই ত্রিবিধ শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। পৌরাণিক কল্পকাহিনিতে বর্ণিত আছে, এ ভাবনায় ভাবিত হওয়ার মাধ্যমে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শী জ্ঞানে পূজা করেছিলেন।
দেশে আজ রামকৃষ্ণ মিশনে দেবীর মাতৃরূপ পূজিত হবে কুমারী হিসেবে। অষ্টমী অথবা নবমী তিথিতে কুমারীপূজা করার রীতি রয়েছে। স্থানভেদে নিজ নিজ আচার এবং ভিন্ন পঞ্জিকা অনুসারে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়ম মেনে অষ্টমী অথবা নবমী তিথিতে কুমারীপূজা হয়।
কুমারীপূজার কোনো নির্দিষ্ট শুভ সময় হয় না। এটি দুর্গাপূজার বিভিন্ন আচারগুলোর মধ্যে একটি। অষ্টমী বা নবমীর পূজার তিথির মধ্যে এই পূজা করতে হয়। মা দুর্গার অষ্টমী বা নবমী বিহিত পূজা শুরু করে দেওয়ার পর কুমারীপূজা করার নিয়ম বর্তমান।
উল্লেখ্য, এবার সারা দেশের ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামন্ডপে চলছে দূর্গা পূজার আয়োজন। পূজা উদযাপনের সার্বিক নিরাপত্তায় ৭০ হাজার পুলিশ, ১ লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি'র সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। মোতায়েন করা হয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন আনসার সদস্য। এবছর দেবী দুর্গা এসেছেন হাতির পিঠে চড়ে আর যাবেন মানুষের পীঠে চড়ে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।