আমি হৃদয় ভাঙার ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না: বিবেক
Published: 30th, September 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়। ব্যক্তিগত জীবনে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাদের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। ২০০৩ সালে এ সম্পর্কের ইতি টানেন এই যুগল। কারণ ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক সালমান খান হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন বিবেক। তারপর এ ঘটনার প্রভাব বিবেকের ক্যারিয়ারেও পড়ে।
কয়েক দিন আগে প্রখর গুপ্তকে সাক্ষাৎকার দেন বিবেক ওবেরয়। এ আলাপচারিতায় পুরোনো সেই বিষয় উঠে আসে। বিবেক ওবেরয় বলেন, “আমি সবসময় একজন সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ মানুষ। আমি হৃদয় ভাঙার ভয় নিয়ে বাঁচতে চাই না। কারণ ইতোমধ্যে সেটা অনুভব করেছি। এই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। এটা খুবই ভয়ের, একাকিত্বে ভরা এবং নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মতো এক জীবন।”
আরো পড়ুন:
মাইনাস ১০ ডিগ্রিতে শুটিং, আহত সালমান
ট্রাম্পকে সালমানের ‘কটাক্ষ’
সেই সময়ের সংবাদ সম্মেলন ও তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া দশকের অন্যতম বড় বিতর্কে রূপ নিয়েছিল। তবে বিবেক বিষয়টিকে ঈশ্বরের দেওয়া ধৈর্যের পরীক্ষা মনে করেন। বিবেকের মতে, “অদ্ভুত ব্যাপার হলো, যখন বিপদ মাথার ওপর নেমে আসে, তখন তা অনেক বড় মনে হয়। ঠিক তেমনি মনে করি, ঈশ্বর যখন আমাদের সমস্যাগুলো দেখেন, তখন ভাবেন, ‘বাচ্চা, এটা তো ছোট ব্যাপার, আমি তোমাকে আরো শক্তিশালী করে তুলব।”
সালমান খানের বিরুদ্ধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনকে ‘অপরিণত সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিবেক। তার ভাষায়, “আমার কাছে এখন এটিকে অপরিণত মনে হয়। তখনকার প্রতিক্রিয়া দেওয়া বা পাওয়ার বিষয়টি মজার মনে হয়। সেই ভয়, তিক্ততা—সব কিছুই তখন একটা কঠিন জানালার মতো ছিল। আমি যা কিছু পেরিয়েছি, সেসব ভুলে গেছি।”
২২ বছর আগে ঐশ্বরিয়া-বিবেক সম্পর্কের ইতি টানেন। ২০১০ সালে প্রিয়াঙ্কা আলভাকে বিয়ে করেন বিবেক। প্রিয়াঙ্কা কর্নাটকের মন্ত্রী জীবরাজ আলভার কন্যা। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার যাপন করছেন বিবেক। অন্যদিকে, অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। তবে সালমান খান এখনো বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলরই রয়ে গেছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।