তেহরিক–ই–তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)–এ যোগ দেওয়ার চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।

আইজিপি বাহারুল আলম জানান, তিন মাস আগে সাভার থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি টিটিপির মাধ্যমে যুদ্ধে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। যদিও ওই (গ্রেপ্তার) ব্যক্তির দাবি, তিনি ওমরাহ পালন শেষে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বলেছিলেন। সেটা না করে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।

আরও পড়ুননির্বাচনে পুলিশের চ্যালেঞ্জ সক্ষমতা অর্জন ও ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা: আইজিপি৪ ঘণ্টা আগে

আইজিপি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম, ফয়সাল নামের একজন বাংলাদেশি আগেই পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তিনি নিহত হয়েছেন। মাঝখানে আমরা আরেকজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি, যিনি টিটিপির হয়ে ড্রোন চালাতেন। তিনি বাংলাদেশি বলে জেনেছি। তবে তাঁর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ